logo
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:২৮
গৃহকর্ত্রীকে খুনের দায়ে গৃহকর্মীর যাবজ্জীবন
আদালত প্রতিবেদক

গৃহকর্ত্রীকে খুনের দায়ে গৃহকর্মীর যাবজ্জীবন

প্রায় ১১ বছর আগে রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায় হাসনা বেগম নামে এক গৃহকর্ত্রীকে খুনের দায়ে গৃহকর্মী মোছা. আঞ্জুয়ারা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মাসুমা আক্তার খান নামে আরেক নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আঞ্জুয়ারা বেগমকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা, অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন ।

আঞ্জুয়ারা বেগম পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

নথিসূত্রে জানা যায়, আঞ্জুয়ারা বেগম হাসনা বেগমের শ্যামপুর থানাধীন ৪০/বি ৩৬ সরকার রোডস্থ বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতো।
২০১১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টার দিকে আঞ্জুয়ারা বেগম হাসনা বেগমের আলমারি খুলে ৯০ হাজার টাকার স্বর্ণ এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা চুরি করে। হাসনা বেগম তা দেখে প্রতিবাদ করেন। তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আঞ্জুয়ারা বেগম পাথরের শীল দিয়ে হাসনা বেগমের মাথায় ও মুখে আঘাত করেন।

এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং তার চারটি দাঁত ভেঙে যায়। পরে হাসনা বেগমকে রুমে আটকে রেখে তালা দিয়ে আঞ্জুয়ারা বেগম চলে যান। হাসনা বেগমের ছেলে হাজী মো. জামাল উদ্দিন খান বাসায় ফিরে এসে মাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে রুমের তালা খুলে মাকে দেখতে পান জামাল উদ্দিন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসনা বেগমকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বড় মগবাজারের রাশমনো হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় জামাল উদ্দিন ২৫ সেপ্টেম্বর হত্যা চেষ্টা, চুরির অভিযোগে শ্যামপুর থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এদিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসনা বেগম ২৭ সেপ্টেম্বর মারা যান। পরে হত্যাচেষ্টাসহ চুরির মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১২ সালের ২২ নভেম্বর আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন শ্যামপুর থানার উপ পরিদর্শক মাসুদুর রহমান।