logo
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১২:২০
মান্না হারানোর ১৪ বছর
বিনোদন প্রতিবেদক

মান্না হারানোর ১৪ বছর

শিশু- কিশোর, বড়দের মুখে মুখে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল মান্নার- আম্মাজান, আম্মাজান আপনি বড়ই মেহেরবান গানটি। আম্মাজান সিনেমাটিও পেয়েছিল সাফল্যের উচ্চ মর্যাদা। আজ চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এস এম আসলাম তালুকদার মান্নার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী।

মান্না হারানোর আজ ১৪ বছর। বাংলা সিনেমার রুপ পালটে তা সাধারণের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল মান্না। সাধারণ নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে সমাজের উচ্চ শ্রেণীর কাছে সমাদৃত হয়েছিল মান্না। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্ত্রী শেলী মান্না ও মান্না ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মরহুম মান্নার সহধর্মিণী শেলী মান্না বলেন, এবার তেমন কোনো আয়োজন থাকছে না। তবে ছোট পরিসরে দোয়ার আয়োজন করা হবে। স্মরণ সভায় চলচ্চিত্র অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা স্মৃতিচারণ করবেন।
 ১৯৮৪ সালে বিএফডিসি আয়োজিত নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রমের মাধ্যমে মান্না চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন।জীবদ্দশায় অনেক সুপারহিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন তিনি।


মান্না অভিনীত প্রথম ছবির নাম ‘তওবা’। তার অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘পাগলি’। ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ ছবিতে প্রথম একক নায়ক হিসেবে কাজ করেন মান্না। ছবিটি ব্যবসা সফল হওয়াতে মান্নাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

এরপর কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দাঙ্গা’ ও ‘ত্রাস’ ছবির মাধ্যমে তার একক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া সহজ হয়ে যায়। একে একে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘অন্ধ প্রেম’, মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘ডিস্কো ড্যান্সার’, কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দেশদ্রোহী’, ছবিগুলো মান্নার অবস্থান শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত করে।

১৯৯৯ সালে ‘কে আমার বাবা’, ‘আম্মাজান’, ‘লাল বাদশা’র মতো সুপারহিট ছবিতে কাজ করেন মান্না। প্রযোজক হিসেবেও মান্না বেশ সফল ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠান থেকে যতগুলো ছবি প্রযোজনা করেছেন প্রতিটি ছবি ব্যবসাসফল হয়েছিল।

ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে লুটতরাজ, লাল বাদশা, আব্বাজান, স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ, দুই বধূ এক স্বামী, মনের সাথে যুদ্ধ, মান্না ভাই ও পিতা-মাতার আমানত। চব্বিশ বছরের অভিনয় জীবনে মান্না তিনশ’র ও বেশী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

তার অভিনীত আম্মাজান চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। তিনি বীর সৈনিক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং আম্মাজান চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন।


মান্না তার কাজের মাধ্যমে লাখো ভক্তের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন যুগ যুগ ধরে।