বরিশালগামী সুরভী-৭ লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষে একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। বুধবার রাত পৌঁনে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের চরকিশোরগঞ্জ এলাকার মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে সুরভী লঞ্চে ফাটল ধরেছে। পরে যাত্রীদের কীর্তনখোলা-১০ নামের একটি লঞ্চে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় বাল্কহেডে থাকা ছয় জনের মধ্য পাঁচ জন সাতঁরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ রয়েছে মোতালেব (৫৫) নামের এক শ্রমিক।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক ও বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও এমভি সুরভী-৭ লঞ্চের মালিক রিয়াজুল কবির।
মুন্সীগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. ইলিয়াস জানান, বালুবাহী বাল্কহেডটি ঢাকার ডেমরার দিকে আসছিল। আর সুরভী-৭ লঞ্চটি বরিশালের দিকে যাচ্ছিল। বুধবার রাত পৌঁনে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের চরকিশোরগঞ্জ এলাকার মেঘনা নদীতে নৌযান দুটির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়।
তিনি বলেন, ‘ডুবে যাওয়া বাল্কহেডে ছয় শ্রমিক ছিল। এর মধ্যে চার জন সাঁতরে তীরে ও আরেকজন লঞ্চে উঠে। তবে একজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
সুরভী-৭ লঞ্চের মালিক রিয়াজুল কবির বলেন, ‘রাতে বাল্কহেড চালানো অবৈধ। রাতে বাল্কহেডটি আমার লঞ্চকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চের সামনের দিকের ওপরের অংশ ফেটে গেছে। লঞ্চটি নদীর তীরে নোঙর করে যাত্রীদের নিরাপদে রেখে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চে বরিশালে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
সুরভী-৭ লঞ্চে ছিলেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে লঞ্চটি বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে রাতে। রাত ১১টার দিকে একটি বাল্কহেডের সঙ্গে এর সংঘর্ষ হয়। বাল্কহেডটি ডুবে গেলে কয়েকজন শ্রমিককে সাঁতার কেটে তীরের দিকে যেতে দেখা গেছে।’
সুরভী-৭ লঞ্চের যাত্রী প্রকৌশলী মোসাদ্দেক হাসিব বলেন, ‘বাল্কহেডটির কোনো লাইট জ্বলছিল না। দ্রুতগতিতে চলা সুরভী-৭-এর সঙ্গে প্রথমে বাল্কহেডটির সংঘর্ষ হয়। বিষয়টি খেয়াল না করে মানামী লঞ্চ সুরভীকে ওভারটেক করে উঠতে গিয়ে মানামীর সঙ্গেও বাল্কহেডটি ধাক্কা লাগে। মানামীর পাশে আরও একটি বাল্কহেড ছিল, সেটিতে অল্পের জন্য ধাক্কা লাগেনি।’