logo
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:১৫
সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের মালিকের ৫ বছর কারাদণ্ড
আদালত প্রতিবেদক

সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের মালিকের ৫ বছর কারাদণ্ড

প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় মেসার্স সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী নাজমুল হককে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি নাজমুল হককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তাকে আরও ৩ মাস বিনাশ্রম কারাভোগের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল ভোরের আকাশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ সময় আসামিপক্ষের কোন আইনজীবীকে দেখা যায়নি।

নাজমুল হক পলাতক রয়েছেন। বিচারক তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

রায়ের বিবরণ থেকে জানা গেছে, ৯-এইচ, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা ঠিকানায় অবস্থিত মেসার্স সাদিয়া ইন্টারন্যাশনাল এর সত্বাধিকারী নাজমুল হক ১৯৯৬ সালের ২৮ নভেম্বর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাইম ব্যাংক মতিঝিল শাখায় একটি চলতি হিসাব খোলেন। এরপর ভারত থেকে এগ্রিকালচার ডিজেল ইঞ্জিনের স্পেয়ার পার্টস আমদানির জন্য ২৫ শতাংশ মার্জিনে দুইটি এলসির জন্য আবেদন করেন। এজন্য তিনি ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা তার হিসাবে জমা দেন।

তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর ২৫ হাজার ১০০ মার্কিন ডলার (দেশীয় মুদ্রায় ১০ লাখ ২৪ হাজার ৪৯১ টাকা) মূল্যের এলসি ভারতীয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বনানী এন্টারপ্রাইজের অনুকূলে রাখা হয়। মালামাল আমদানির পর ব্যাংক থেকে বার বার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও গ্রাহক ও আমদানিকারক নাজমুল হক ব্যাংক থেকে আমদানি করা মালামালের শিপিং ডকুমেন্ট ছাড় করেননি এবং কাস্টমস থেকে মালামাল খালাস করেননি।

রায়ে বলা হয়, শিপিং ডক্যুমেন্ট ছাড় না করে এবং কাস্টমস থেকে মালামাল খালাস না করে ২৫ শতাংশ মার্জিনে ৪৯ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার (দেশীয় মুদ্রায় ২০ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৭ টাকা) মূল্যের দুটি এলসি খুলে ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা বাদে ব্যাংকের পাওনা বাবদ ১৫ লাখ ৬৪ হাজার ৭২৭ টাকা প্রতারণা ও ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন নাজমুল।

এ অভিযোগে ২০১১ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা মতিঝিল থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্তের পর তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

এরপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জন সাক্ষীর মধ্যে সাত জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।