ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম দিন শেষে শক্ত অবস্থানে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে লজ্জায় ম্রিয়মান সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাট হেনরির বিধ্বংসী বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯৫ রানে গুটিয়ে গেছে সফরকারীরা। ২৩ রানে ৭ উইকেট নিয়েছে এ কিউই পেসার। দিন শেষ স্বাগতিকরা ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১১৬ রান জমা করেছে। ফলে নিউজিল্যান্ড ২১ রান এগিয়ে রয়েছে।
টস হারের পর নিউজিল্যান্ডের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে এমন নাজুক অবস্থায় পড়তে হবে তা হয়তো ডিন এলগার কল্পনাতেও আনেননি। পেস বান্ধব ক্রাইস্টচার্চের উইকেটে পেস বোলাররা আগুন ঝড়াবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সে আগুনের তীব্রতা যে এমন হবেÑ তা বুঝতে পারেনি প্রোটিয়া ব্যাটাররা। অবস্থা এমন হয়েছে যে সাত ব্যাটার দুই অঙ্কেই পৌঁছাতে পারেনি।
প্রোটিয়াদের ইনিংসে ষষ্ঠ উইকেটে নতুন ব্যাটার জুবায়ের হামজা ও কাইল ভেরেনে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন। এ জুটির কল্যাণে স্কোরবোর্ডে যোগ হয়েছে ৩৩ রান। হামজা করেছে ২৫ রান। ৭৪ বলে এ রান করেছেন। অন্যদিকে ৫২ বল খেলে তিনি করেন ১৮ রান। ইনিংসে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান।
ম্যাট হেনরির তাণ্ডবে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শুধু তাই নয়, অনেকটা একাই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধসিয়ে দিয়েছেন তিনি। দুর্ভাগ্য তার। হ্যাটট্রিক করতে পারেননি, তবে একই ওভারে তিনবার উইকেট শিকারের উৎসব করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার উইকেটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ রানে ৭ উইকেট। আর তাতেই ৯৫ রানে অল আউট হয়েছেন সফরকারীরা। এতে ১৯৩২ সালের পর প্রথম ইনিংসে এত কম রানে তারা অল আউট হয়েছে। অন্যদিকে ১৯১৫ সালের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কোনো কিউই বোলারের এটা সেরা বোলিং।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই সংগ্রহ ৩৪ ওভারের মধ্যে নিউজিল্যান্ড টপকে যায়। তবে এ জন্য তাদের তিন উইকেট হারাতে হয়েছে। অধিনায়ক টম লাথাম ১৫ রানে আউট হন। তার সঙ্গী ওপেনার উইল ইয়ং সবার আগে ক্রিজ ছাড়েন। তার সংগ্রহ মাত্র ৮ রান। এছাড়া আউট হয়েছেন ডেভন কনওয়ে। ৩৬ রান করেছেন তিনি। আর হেনরি নিকোলস ৩৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন। তার সঙ্গে আছেন নীল ওয়াগনার। তার সংগ্রহ ২ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার ডুয়ানে ওলিভার দুই উইকেট এবং মার্কো ইয়ানসেন একটি উইকেট শিকার করেন।