logo
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২১:১৩
অরিত্রীর আত্মহত্যার মামলায় প্রতিবেশীর সাক্ষ্য
আদালত প্রতিবেদক

অরিত্রীর আত্মহত্যার মামলায় প্রতিবেশীর সাক্ষ্য

অরিত্রী

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় শ্রী অনিক নামে এক প্রতিবেশী সাক্ষ্য দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাবিনা আক্তার দিপা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, ‘স্কুলছাত্রী অরিত্রী হত্যা মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)। এদিন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে এ হত্যা মামলার সাক্ষী শ্রী অনিক সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আগামী ১৪ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।’

এদিন জমিনে থাকা দুই আসামি নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার আদালতে হাজিরা দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।

অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।

অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় স্কুলের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ২০ মার্চ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে অভিযোগ পত্র জমা করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

আসামিদের নির্দয় ব্যবহার ও অশিক্ষকসুলভ আচরণে অরিত্রী অধিকারী আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয় বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।