logo
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২২:৪২
ভবন মালিককে হাইকোর্টে তলব
ইভ্যালির ৫০ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তরের অনুমতি হাইকোর্টের
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইভ্যালির ৫০ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তরের অনুমতি হাইকোর্টের

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে থাকা শেয়ারের ৫০ শতাংশ রাসেলের শশুর-শাশুড়ি ও ভায়রার নামে হস্তান্তর করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এদিকে ইভ্যালির কার্যালয় যে ভবনে সেই ভবনের মালিককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন। রাসেলের শশুর রফিকুল আলম তালুকদার, শাশুড়ি ফরিদা তালুকদারসহ রাসেলের আত্মীয়-স্বজনের মৌখিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত। আদালতে ইভ্যালির পরিচালনা বোর্ডের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মোরশেদ আহমেদ খান। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এক আদেশে রাসেল ও শামীমার নামে থাকা কিছু সংখ্যক শেয়ার তার আত্মীয়-স্বজনের নামে হস্তান্তরে সহযোগিতা করতে ইভ্যালি পরিচালনা বোর্ডের প্রতি নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ৫০ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তরের অনুমতি দিলেন হাইকোর্ট। শেয়ার হস্তান্তরের পর নতুন গ্রহীতারা আদালতের অনুমতি ছাড়া শেয়ার হস্তান্তর করতে পারবে না। তারা হাইকোর্টের গঠিত বোর্ডের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। এ বিষয়ে অডিট কর্তৃপক্ষকেও সহযোগিতা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন জানান, ইভ্যালির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান জেলখানায় অবস্থান করছেন। এ অবস্থায় পুরো হস্তান্তর প্রক্রিয়া জেলখানার মধ্যেই হবে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও জেল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে হবে। শেয়ারগুলো তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর তারা ইভ্যালি পুনর্গঠনের পাশাপাশি পরিচালনা বোর্ডকে সহযোগিতা করবেন।

তিনি বলেন, তিন মাস ধরে ইভ্যালির কেনাবেচা এবং পণ্য সরবরাহের কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির আয়ের কোনো সংস্থান নেই। কিন্তু ব্যয় যথারীতি রয়েছে। ইভ্যালির ওয়েবসাইট ও অ্যাপস বন্ধ রয়েছে। ফেসবুক পাতাতেও গত বছরের ১৮ অক্টোবরের পর নতুন কোনো আপডেট আসেনি।

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি একই হাইকোর্ট বেঞ্চ মো. রাসেল ও তার স্ত্রী, ভাই-বোন, পিতা-মাতা, শ্বশুর-শাশুড়ি ও মেয়ের নামে থাকা সকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তার জবাব জানতে চেয়ে শোকজ নোটিশ জারি করেন। রাসেল ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের ২ সপ্তাহের মধ্যে এই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়। এর পরই রাসেলের আত্মীয়-স্বজন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

ইভ্যালির এক গ্রাহকের আবেদনে হাইকোর্ট গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। পরবর্তীতে ইভ্যালির কর্ণধার মোহাম্মদ রাসেল গ্রেপ্তার হবার পর প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার স্বার্থে গতবছর ১৮ অক্টোবর আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট।