logo
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:৪৫
সত্য-মিথ্যা নির্ধারণের বৈজ্ঞানিক ফিল্টার
‘আমি জানি, তুমি মিথ্যা বলছ’
ইফফাত শরীফ

‘আমি জানি, তুমি মিথ্যা বলছ’

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় পছন্দের বই খুব মন দিয়ে পড়তে দেখা যায় দুই তরুণীকে। ছবিটি গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে তোলা। ভোরের আকাশ

‘ব্যাপারটা ঠিক কেমন হবে, যখন কারো সাথে কিছু কথা বলার পর আপনি বুঝতে পারছেন না আসলে তিনি সত্য বলছেন নাকি মিথ্যা? আপনি বুঝতে পারছেন না-তার বক্তব্যের কোন অংশটুকু সত্য আর কোন অংশ মিথ্যা। ধরুন আপনি একটা লোককে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে কোথাও পাঠিয়েছেন। কিন্তু সে এসে বলল টাকাটা তার কাছ থেকে ছিনতাই হয়েছে।

টাকা নিয়ে আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে এক ঘন্টা সময় লাগার কথা। কিন্তু সে সময় ব্যয় করেছে দেড় ঘন্টা। তাহলে সে অতিরিক্ত আধা ঘন্টা কোথায় ব্যয় করেছে। এমতাবস্থায় এমন কিছু মৌলিক সূত্র আছে, যা ব্যবহার করে আপনি সত্যের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারেন।

এমন কিছু বিষয় আছে যা সত্য বের করতে আপনাকে দারুণভাবে সাহায্য করতে পারে?

অমর একুশে বইমেলার বাংলা একাডেমি চত্বরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দেয়া স্টলে ‘আমি জানি তুমি মিথ্যা বলছ’ গ্রন্থে সত্য-মিথ্যের বিশ্লেষণ ও এ ধরনের অপরাধের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। এই গ্রন্থে এমন কিছু ইস্যু সামনে আনা হয়েছে, যার মাধ্যমে সত্য উদ্ঘাটনের কাছাকাছি পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে। মূলত এই গ্রন্থ একটা বৈজ্ঞানিক ফিল্টার, যার মাধ্যমে বক্তার সত্য-মিথ্যা নির্ধারণ করা সম্ভব। গ্রন্থটি লিখেছেন পুলিশের বর্তমান ডিআইজি (লজিস্টিকস) তওফিক মাহবুব চৌধুরী। গ্রন্থটি লেখার একটা প্রেক্ষাপট আছে। এই প্রেক্ষাপটটি ভোরের আকাশের প্রতিবেদকের কাছে তুলে ধরেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের স্টলের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেছেন, লেখক একজন পেশাদার পুলিশ অফিসার হিসেবে যখন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত এফবিআই ন্যাশনাল একাডেমিতে ‘তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ’ বিষয়ে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ নেন। তখন সেখানে বসেই লেখক এই বইয়ের আইডিয়া ও ড্রাফট তৈরি করেছেন। তিনি আরো বলেন, এই গ্রন্থে সাহিত্য রসের চেয়ে তথ্যের সম্মিলন দেখা যাবে বেশি। বইটি পড়ার সময় নিশ্চয়ই পাঠকরা এ ব্যাপারটা খেয়াল রাখবেন।

এবারের বই মেলায় রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া) স্টলে এখন পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর অবসর প্রাপ্ত ৮০ জন সদস্যের লেখা মোট ১৯০ ধরনের বই প্রকাশ হয়েছে। এই স্টলের দায়িত্বরত কর্মকর্তা হোসেন আলতাফ মাহমুদ ভোরের আকাশকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেছেন, এবারের মেলায় আমাদের স্টলের সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া বই হচ্ছে ‘দি অনার কোড’। এই বইটিতে অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকা যায় সঙ্গে ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা থেকে বের হয়ে সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে নিজের অবদানকে কিভাবে মূল্যায়ন করা যায়? এইসব বিষয়গুলো লেখক চেষ্টা করেছেন বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করতে। তিনি আরো বলেন, আমাদের স্টলে মূলত সায়েন্স ফিকশন এবং গোয়েন্দা ভিত্তিক বইগুলোই বেশি চলছে।

‘দি অনার কোড’ বইটি মূলত একজন সেনা অফিসারের একুশ বছর কর্মজীবনে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমÐলে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাসমূহের একটি একক সংকলন। যাদের সশস্ত্র বাহিনীর লাইফস্টাইল সম্পর্কে জানার আগ্রহ আছে তারা এই বইটি পড়লে অনেক ধারণা পাবেন।

বইমেলায় তৃতীয় দিনে সিরাজগঞ্জ শহর থেকে বই কিনতে এসেছেন মো. জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তিনি বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের স্টল থেকে প্রধানমন্ত্রীর ওপর লেখা বই ‘হাসু থেকে শেখ হাসিনা- জননেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রী’ বইটি কিনেছেন।

তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, আমার সাড়ে তিন বছরের দুটি জমজ বাচ্চা আছে। তাদের জন্য কিছু শিশুদের গল্পের বই কিনেছি। সঙ্গে আমার জন্য কিছু রাজনৈতিক বই কিনেছি। রজনৈতিক বইগুলোই মূলত আমার পছন্দ।