logo
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২০:৪৮
সম্ভাব্য ইউক্রেন আক্রমণের প্রতিক্রিয়া
রাশিয়াকে ইউরোপের অর্থনীতি, প্রযুক্তিপণ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে: ইইউ

রাশিয়াকে ইউরোপের অর্থনীতি, প্রযুক্তিপণ্য 
থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে: ইইউ

রাশিয়ার সম্ভাব্য ইউক্রেন হামলার মুখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়েনে বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে দেশটিকে ইউরোপের আর্থিক বাজার এবং উচ্চ-প্রযুক্তি পণ্যগুলোতে রাশিয়ার প্রবেশাধিকার সীমিত করা হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়েনের এই মন্তব্য এমন সময় এসেছে যখন ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা তীব্র হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার জোর দিয়ে বলেছেন যে, তিনি নিশ্চিত হয়েছেন ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন প্রতিবেশী দেশটিতে (ইউক্রেন) আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের বক্তৃতায় উরসুলা ভন ডার লেয়েন বলেন, ‘ক্রেমলিনের বিপজ্জনক চিন্তাভাবনা যা রাশিয়ার অতীত অন্ধকার সময় থেকে উৎসারিত দেশটির সমৃদ্ধ উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিতে পারে।’

ভন ডের লেয়েন আরো বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী বিভাগ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডার সঙ্গে মিলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার একটি ‘শক্তিশালী এবং বিস্তৃত প্যাকেজ’ তৈরি করেছে।

তিনি আরো বলেছেন, ‘যদি রাশিয়া হামলা চালায়, আমাদের (ইউ) আর্থিক বাজারে আমরা রাশিয়ার অর্থনীতির প্রবেশাধিকার সংকুচিত করব। ইউরোপের বাজারে রাশিয়ার রপ্তানি ও নিয়ন্ত্রণ করা হবে যা দেশটির অর্থনৈতিক আধুনিকীকরণ এবং বৈচিত্র্যকরণের সম্ভাবনাকে বন্ধ করে দেবে।

‘আমাদের প্রচুর উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য রয়েছে যেগুলোর বিশ্বব্যাপী আধিপত্য রয়েছে এবং এই পণ্যগুলো রাশিয়ার জন্য একেবারে অপরিহার্য সহজেই বিকল্প পাওয়া যায় না’ বলেন ভন ডের লেয়েন।

এই নিরাপত্তা সম্মেলনের জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেছেন, যে পুতিনের সঙ্গে মঙ্গলবারের বৈঠকে তিনি ‘স্পষ্ট করেছেন যে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করা হলে রাশিয়ার জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ভূ-কৌশলগতভাবে উচ্চ মূল্য দিতে হবে।’

‘একই সঙ্গে আমি জোর দিয়েছিলাম যে, আমাদের কারণে কূটনীতি যেন ব্যর্থ না হয়’ স্কোলজ যোগ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইউক্রেইন সীমান্তের কাছে ১ লাখ ৬৯ হাজার থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে মস্কো, যাদের মধ্যে ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলের স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রাশিয়ার সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধারাও আছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর কখনো এত বেশি সৈন্য সমাবেশ ঘটায়নি রাশিয়া। আর এই বাহিনীর অর্ধেকই ‘অ্যাটাক পজিশনে’, অর্থাৎ হামলার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে, বলে ভাষ্য মার্কিন কর্মকর্তাদের।

এপি থেকে অনূদিত।