logo
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২১:৪২
ইউক্রেন ইস্যুতে বাধাগ্রস্ত হতে পারে জলবায়ু অর্থায়ন
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

ইউক্রেন ইস্যুতে বাধাগ্রস্ত হতে পারে জলবায়ু অর্থায়ন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘ইউক্রেন ইস্যুতে বাধাগ্রস্ত হতে পারে জলবায়ুর বৈশ্বিক অর্থায়ন। দেশ দুটির সম্ভাব্য যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিরতার দিকে এগুচ্ছে। এমনটা হতে চললে জলবায়ু ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য উন্নত দেশগুলো অর্থায়নে তাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেটি ব্যাহত পারে।’

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জার্মানিতে শুরু হওয়া ‘৫৮তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন’ এর জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বিষয়ে এক প্যানেল আলোচনায় এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।

ড. মোমেন বলেন, ‘ধনী দেশগুলো প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি ডলার তহবিল দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেটি বাস্তবায়নে নজর দিতে হবে।’

বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো মধ্যে অন্যতম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বহু মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার। এর ফলে নিরাপত্তা সংকটও সৃষ্টি হচ্ছে। এসব বিষয়েও আমাদের নজর দেওয়া প্রয়োজন। যেসব দেশ বেশি কার্বন নিঃসরণ করছে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে তারা কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনবেন।’

নিরাপত্তা সম্মেলনের অপর এক অধিবেশনে যোগ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে অন্যান্য দেশগুলোর পাশে দাঁড়ানো উচিত। এতে করে ভ্যাকসিনের সংকট কাটিয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন সমতা সৃষ্টি হবে।’

জার্মানিতে অনুষ্ঠেয় ৫৮তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জার্মানি যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। নিরাপত্তা সম্মেলনটি ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন গত চার দশক ধরে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি স্বাধীন ফোরাম হিসাবে কাজ করছে।

ড. মোমেন নিরাপত্তা সম্মেলন শেষে ২১ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের উদ্দেশে মিউনিখ ত্যাগ করবেন। প্যারিসের আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য প্যাসিফিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামের বৈঠকে যোগ দিবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক ও নিরাপত্তা নীতি সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ছাড়াও ৩০টি ইন্দো-প্যাসিফিক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নিচ্ছেন।