logo
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:০৮
এবি ব্যাংকের নগদ আদায় কম, কারণ জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
জাফর আহমদ

এবি ব্যাংকের নগদ আদায় কম, কারণ জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

প্রতীকী ছবি

এবি ব্যাংকে ৫০০ কোটি টাকার ওপরে ঋণ, এমন বড় ১১ গ্রাহকের কাছে ঋণের পরিমাণ ৮ হাজার ২০৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে তিন গ্রাহক আশিয়ান এডুকেশন, বেল কনসস্ট্রাকশন এবং রাইজিং স্টিল মিল খেলাপি। এ তিন গ্রাহকের কাছে ব্যাংকটির মন্দমানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৭৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

প্রতিষ্ঠানটিগুলোর মধ্যে বেল কনসস্ট্রাকশন ১ শতাংশ ঋণ ফেরত দিলেও বাকি প্রতিষ্ঠান দুটি টাকা নগদ টাকা ফেরত দেয়নি। অন্য বড় ঋণের আদায় পরিস্থিতি ভালো না। নগদ আদায় কম হওয়ায় কারণ জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বড় ঋণের তথ্য ভাণ্ডার করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে দেওয়া এবি ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকটির ৫০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিল্ডার্স ফয়েলস লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৭৮ কোটি টাকা, যা নিয়মিত।

অন্য নিয়মিত ঋণের মধ্যে মাহিন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ৯৯১ কোটি টাকা, ওরিয়ন ওয়েল অ্যান্ড শিপিং ৮৯১ কোটি টাকা, অ্যালো কোট ৮১৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা, প্যাসিফিক বিডি টেলিকমের ৭২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ারিং ৭১৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা, বেক্সিমকো এলপিজি ইউনিট-১ এর ৬৭৬ কোটি এবং ক্রিয়েটিভ ট্রেড ৫৭৬ কোটি টাকা।

এছাড়া খেলাপি প্রতিষ্ঠান তিনটি আশিয়ান এডুকেশন ৬১৩ কোটির ২৮ লাখ টাকা, বেল কনসস্ট্রাকশন ৫৮৫ কোটি টাকা এবং রাইজিং স্টিল মিল ৫৩৬ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক বড় ঋণের ডাটা ভাণ্ডার ও আদায় পরিস্থিতি জানতে চেয়ে গত জানুয়ারিতে এবি ব্যাংককে চিঠি দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠির জবাবে এবি ব্যাংক জানায়, বড় ঋণ নেওয়া ১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাঁচটি গ্রাহক প্রতিষ্ঠান শেষ কিস্তির নগদ জমা দিয়েছে।

নিয়মিত থাকা গ্রাহকের মধ্যে বিল্ডার্স ফয়েলস লিমিটেড নগদ টাকা জমা দিয়েছে ১২ লাখ টাকা, বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ারিং জমা দিয়েছে ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, বেক্সিমকো দিয়েছে ৩ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ক্রিয়েটিভ ট্রেড ফেরত দিয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর তিন খেলাপি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আশিয়ান এডুকেশন ও রাইজিং স্টিলমিল কোনো টাকা দেয়নি।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বড় ঋণের আদায় পরিস্থিতি ভালো নয়, এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১৩টি। এর মধ্যে অন্যতম হলো এবি ব্যাংক। নগদ আদায় পরিস্থিতি ভালো না হওয়ার অন্য ব্যাংকগুলো হলো, সোনালী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড, মধুমতি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, রাষ্ট্রায়ত্ত রুপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরটি ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক। নগদ আদায়ের গতি কেন গতিশীল হচ্ছে না, এসব ব্যাংকের কাছে জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।