logo
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:৫৫
আলোর মুখ দেখেনি পটুয়াখালী শহীদ মিনার
আব্দুস সালাম আরিফ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি




আলোর মুখ দেখেনি পটুয়াখালী শহীদ মিনার

এই খালি স্থানেই শহীদ মিনার নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়

পটুয়াখালী শহরের প্রাণকেন্দ্রে জেলা পরিষদ কর্তৃক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ করার উদ্যোগ নিলেও ছয় বছরে তা আলোর মুখ দেখেনি। ফলে এখনো ভিত্তিপ্রস্তরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে কাজ। আর আদৌ এটি বাস্তবায়ন হবে কিনা তা নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা।

মূলত ২০১৬ সালের দুই মে পটুয়াখালী শহরের শিল্পকলা একাডেমির পশ্চিম পাশে এবং শিশু একাডেমি ভবনের উত্তর পাশের খালি স্থানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ করার জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়। পটুয়াখালী জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ এটি বাস্তবায়ন করবে মর্মে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন পটুয়াখালী দুই আসনের সংসদ সদস্য ও তৎকালীন চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। তবে এরপর আর শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি।

পটুয়াখালী জেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী শহরে বড় পরিসরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তৎকালীন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান মোশাররফ হোসেন। সে অনুযায়ী ফলক উন্মোচন করেন পটুয়াখালী ২ আসনের (বাউফল উপজেলা) সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ। সে সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে আ স ম ফিরোজের বিশেষ বরাদ্দ এনে দেওয়ার কথা ছিল, তবে পরে সেই বরাদ্দ না হওয়ায় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। এরই মধ্যে মারা যান খান মোশাররফ হোসেন। এরপর আর এই প্রকল্পের কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান মোহন বলেন, 'আমি সে সময় দায়িত্বে ছিলাম না, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর শহীদ মিনার নির্মাণের এই ফলকটি আমার চোখে পড়ে। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। তবে জেলা পরিষদে এ সংশ্লিষ্ট কোনো ফাইলপত্র খুঁজে পাইনি।'

পটুয়াখালী দুই আসনের এমপি আ স ম ফিরোজ বলেন, 'বিষয়টি আমার স্মরণে নেই। আমাকে কেউ এ বিষয়ে অবহিত করেনি। অবহিত করলে হয়তো এতদিনে বরাদ্দের ব্যবস্থা করে কাজ সম্পন্ন করা যেত।’

এদিকে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের উত্তর-পূর্ব পাশেও জেলা পরিষদ কর্তৃক একটি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে আর শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী শাহজাহান জানান, জুবিলী স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য তিন লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ শহীদ মিনারের যে নকশা দিয়েছে, তা তিন লাখ টাকায় করা সম্ভব নয়। এ কারণে সেটি করা হয়নি এবং এ বাবদ কোনো অর্থ ব্যয় হয়নি।

অপরদিকে পটুয়াখালী শহরের সার্কিট হাউজ সংলগ্ন এলাকায় এবার বড় পরিসরে উন্মুক্ত মঞ্চসহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা করছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন। তবে বর্তমানে পটুয়াখালী পৌরসভা চত্বরে অবস্থিত শহীদ মিনারেই আনুষ্ঠানিকভাবে ফুল দিয়ে সবাই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।