logo
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৬:২৯
গ্রামের স্কুলে শিক্ষার্থী কম
শাহরিয়ার রহমান রকি, ঝিনাইদহ

গ্রামের স্কুলে শিক্ষার্থী কম

ঝিনাইদহ সদরের লাউদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষের চিত্র। ছবি: শাহরিয়ার রহমান রকি/ভোরের আকাশ

করোনার বিধিনিষেধ শেষে সারা দেশের মতো ঝিনাইদহে মঙ্গলবার থেকে খুলেছে সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা প্রিয় স্কুলে হাজির হয়। তবে শহরের তুলনায় গ্রামের স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম।

এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ঢোকানোর কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, এক লাখ ৭৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯৪ হাজার শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন সম্পন্ন হয়েছে। তবে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেখা যায়- করোনা টিকার সনদ ছাড়াই ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।

শহরের স্কুলগুলো ঘুরে জানা যায়, ৯০ ভাগ শিক্ষার্থীই দ্বিতীয় ডোজের আওতায় এসেছে। যারা দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন না করে স্কুলে এসেছে তাদের দরখাস্ত নিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোতে দ্বিতীয় ডোজ ও প্রথম ডোজ সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা একই সঙ্গে বসে ক্লাস করছে। সেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী কারো মধ্যেই নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে লাউদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, দশম শ্রেণিতে ৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস চলছে। তাদের মধ্যে চার জনেরই নেওয়া হয়নি করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ। অষ্টম শ্রেণিতে চারজন শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে ক্লাস। সেখানেও একই চিত্র।

ওই স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শান্তা ইসলাম ইভা বলে, ‘প্রথম ডোজ টিকা নিয়ে স্কুলে এসেছি। স্যাররা বলল কোনো সমস্যা নেই। তোমরা ক্লাস করো। পরে দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে নিয়ো।’

লাউদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা নাহিদা জাকারিয়া বলেন, ‘আমাদের স্কুলে মোট দেড়শ শিক্ষার্থী রয়েছে। করোনার বিধিনিষেধের পর স্কুল খোলার প্রথম দিনে অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্লাসে এসেছে।

‘গ্রামের স্কুল হওয়ার কারণে আমাদের প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেনি। দু-এক দিনের মধ্যেই সকল শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে’, যোগ করেন তিনি।

জেলা শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থী ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে। যারা দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন না নিয়ে স্কুলে আসছে তাদের কাছ থেকে দরখাস্ত নিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত পাঠদানের মাধ্যমে এখনকার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া হবে।’

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তসলিমা খাতুন জানান, মাধ্যমিকে অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী টিকার দ্বিতীয় ডোজের আওতায় আসেনি। তাদের খুব শিগগিরই টিকা দেওয়া হবে।