logo
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:১৬
সেই রফিকুলের বিচার শুরু
আদালত প্রতিবেদক

সেই রফিকুলের বিচার শুরু

আদালতে রফিকুল ইসলাম। (সংগৃহীত ছবি)

রাজধানীর মতিঝিল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় আলোচিত বক্তা রফিকুল ইসলামসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৩০ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার অপর আসামি হলেন মাহমুদুল ইসলাম মতুর্জা।

মাহমুদুলের আইনজীবী পাপিয়া শুনানিতে বলেন, ‘অভিযোগপত্র থেকে যে তিনজনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের অভিযোগ আর আমার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ একই। তাই তারা অব্যাহতি পেলে আমার আসামি কেন পাবে না? মাহমুদুল সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাই এ মামলা থেকে সে অব্যাহতি পাবে।’

রফিকুল ইসলামের আইনজীবী শোহেল মো. ফজলে রাব্বী অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন এবং অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। তারা দোষী না নির্দোষ, তা জানতে চেয়ে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চায়।

এদিন শুনানিকালে রফিকুল ইসলামকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা মাহমুদুল ইসলাম মতুর্জাও এ সময় উপস্থিত ছিল।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা রাষ্ট্র, সরকার, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবমাননা ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করে। এই বক্তব্যের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়। গত বছরের ৮ এপ্রিল ধানমন্ডির ১৫ নম্বর মিতালী সড়কের বাসিন্দা সৈয়দ আদনান হোসেন বাদী হয়ে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করেন।

এই মামলায় ২০২১ সালের শেষদিকে অভিযোগপত্র জমা দেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২৫ মার্চ বিক্ষোভকালে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে রফিকুল ইসলামকে আটক করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এরপর একই বছরের ৭ এপ্রিল নেত্রকোনার বাড়ি থেকে রফিকুল ইসলামকে আটক করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র‌্যাব। এরপর গাছা থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে সে কারাগারে আটক রয়েছে।