গ্যালারিতে বসে সরাসরি প্রিয় দলের খেলা দেখার মজাটাই আলাদা। যারা গ্যালারিতে বসে কখনো খেলা দেখেননি, তাদের পক্ষে এই ব্যাপারটি উপলব্ধি করা একেবারেই অসম্ভব। কিন্তু গ্যালারির যে চেয়ারে বসে আরাম করে খেলা দেখবেন দর্শক, সেই চেয়ার যদি হয় ভাঙা, তাহলে দুর্ভোগের আর শেষ নেই। কারণ ওয়ানডে ক্রিকেট ম্যাচ সরাসরি উপভোগ করতে হলে দীর্ঘ সময় গ্যালারিতে অবস্থান করতে হবে। তাই গ্যালারিতে বসার সুব্যবস্থা না থাকলে কষ্টের সীমা থাকবে না। এতদিন চট্টগ্রাম জহুর আহমদ চৌধুরী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এই সীমাহীন কষ্টই করতে হচ্ছিল দর্শকদের।
তবে চট্টগ্রামের ক্রিকেটভক্তদের জন্য সুসংবাদ। ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গ্যালারির সেই ভাঙা চেয়ারে বসে খেলা উপভোগ করতে হবে না দর্শকদের। এই সিরিজের আগেই চট্টগ্রামের এই ভেন্যুর গ্যালারিতে ভাঙা চেয়ার সরিয়ে সেখানে বসানো হয়েছে নানা রঙের নতুন চেয়ার। প্রায় ১২ হাজার নতুন চেয়ার বসানোর পর পাল্টে গেছে গ্যালারির চেয়ারা। একেবারে নতুন সাজেই যেন সেজেছে পুরো স্টেডিয়ামটি।
এবার গ্যালারির নতুন চেয়ারে বসেই ওডিআই সিরিজের ম্যাচগুলো উপভোগ করবেন চট্টগ্রামের দর্শকরা। যদিও করোনা সংক্রমণের কারণে সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলের ম্যাচগুলোতে এই ভেন্যুতে গ্যালারিতে দর্শক নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে এখন করোনা সংক্রমণ কমে আসায় এই ওডিআই সিরিজে চার হাজার দর্শককে মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যদিও এই স্টেডিয়ামে সবমিলিয়ে ১৮ হাজার দর্শক সরাসারি খেলা উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে। করোনার কারণে সীমিত পরিসরে এবার দর্শকদের গ্যালারিতে বসে খেলা উপভোগ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
গ্যালারিতে নতুন চেয়ার বসানো প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চট্টগ্রাম ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারী রুবেল বলেন, ‘২০১১ সালে চট্টগ্রামের এই ভেন্যুতে পূর্ব পাশের গ্যালারি দ্বিতল ও পশ্চিম পাশের গ্যালারি নির্মাণ করার পর অত্যাধুনিক প্লাস্টিক চেয়ার বসানো হয়। কিন্তু এরপর দীর্ঘদিন ওই চেয়ার আর পরিবর্তন করা হয়নি। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রামের এই ভেন্যুটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এসব কারণে গ্যালারির অনেকগুলো চেয়ার ভেঙে গিয়েছিল। আরো অনেকগুলো চেয়ার বসার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছিল। তাই গ্যালারিতে মাস দুয়েক আগে থেকে নতুন চেয়ার বসানো শুরু হয়।’
তিনি বলেন, ‘আগের চেয়ারগুলো দেশের বাইরে থেকে আনা হয়েছিল। এবার দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ার বসানো হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার নতুন চেয়ার বসানো হয়েছে।’