রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন যে, দেশের স্বার্থ নিয়ে কোনো আলোচনা করা হবে না তবে এই কঠিন সমস্যা সমাধানে তিনি সংলাপের জন্য প্রস্তুত আছেন।
পিতৃভূমি রক্ষক দিবস উপলক্ষে ক্রেমলিন পুতিনের একটি ভিডিও ক্লিপ ছাড়েন। ওই ভিডিও ক্লিপে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি কতটা কঠিন হযেছে । ন্যাটো ব্লকের সামরিক তৎপরতার কারণে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ছে।’
‘একই সাথে একটি সমতা ভিত্তিক ও অবিভাজ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য রাশিয়ার আহ্বান যা সব দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, বরাবরই উপেক্ষিত থেকে গেছে’ পুতিন অভিযোগ করেন।
পুতিন আরো বলেন, ‘রাশিয়া সবসময় সরাসরি ও সৎ সংলাপের জন্য প্রস্তুত আছে। সবচেয়ে কঠিন এই সমস্যার কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার জন্য।’
তবে আমি আবারো বলছি, রাশিয়ার স্বার্থ এবং আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না, বলেন পুতিন।
পূর্ব ইউক্রেনে ‘বি”িছন্নতাবাদীদের’ নিয়ন্ত্রণে থাকা দুটি অঞ্চল ডোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি এবং ওই অঞ্চলে শান্তি রক্ষার নামে সেনা পাঠানোয় একের পর এক পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ছে রাশিয়া। মঙ্গলবার রাতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন।
এর কিছুক্ষণ আগেই যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের পথ ধরে কানাডা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্ত ঘিরে রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে পশ্চিমাদের আগ্রাসনের অভিযোগের উত্তেজনার মধ্যেই গত সোমবার দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপর সেখানে শান্তিরক্ষী মোতায়েনের নির্দেশ দেন তিনি।
এরপরই নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করে পশ্চিমা বিশ্ব। প্রথমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য। এরপর ঘোষণা আসে যুক্তরাষ্ট্রের।
সূত্র : সিএনএন