বিশ্বজোড়া করোনার ত্রাস এখনো কমার নাম নেই। গোটা পৃথিবীতেই মানুষ সংক্রমণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। মুখে মাস্ক পরে বেরোনো এখন দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। কিন্তু সম্প্রতি সেই ফেস মাস্কেরই একটি বিপজ্জনক দিক উঠে এসেছে সামনে।
মাস্ক পরে জগিং করতে করতে আচমকাই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এক ব্যক্তি। প্রচন্ড বুকে ব্যথা হচ্ছিল তার। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জানা যায়, মুখে মাস্ক থাকা অবস্থায় শারীরিক পরিশ্রমের ধকল নিতে পারেনি ওই ব্যক্তির ফুসফুস।
আসলে সংক্রমণ রুখতে মাস্ক যত কার্যকরই হোক, অন্তত ব্যায়াম বা অন্য কোনো শারীরিক কসরত করার সময় তা থেকে দূরে থাকতেই হবে। নিজের নিরাপত্তার জন্যই জগিং বা ব্যায়ামের সময় কখনো মাস্ক পরবেন না। যদি নিজের বাড়িতেই ব্যায়াম করেন, মাস্ক পরার এমনিতেই প্রয়োজন নেই।
আর লকডাউন উঠে যাওয়ার পর যদি পার্কে যান, তা হলে খেয়াল রাখবেন যেন আপনার থেকে বাকি ব্যক্তিদের দূরত্ব অন্তত ছয় ফুট হয়। এই দূরত্ব বজায় রেখে দৌড়ালে বা ব্যায়াম করলে ইনফেকশন ছড়ানোর ভয় নেই।
ব্যায়ামের সময় কেন মাস্ক পরবেন না
মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় ব্যায়াম করার মধ্যে অনেক ঝুঁকি রয়েছে। ব্যায়াম, বা যে কোনো শারীরিক কসরত করার সময় আমরা ফুসফুসে বাতাস বেশি টানি, ফুসফুসকেও অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। মুখে মাস্ক থাকলে ফুসফুসে বাতাস ঢোকার পথে একটা বাধার সৃষ্টি হয়, যার ফলে আপনি একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন, হাঁপিয়ে যান।
তা ছাড়া একটানা অনেকক্ষণ মাস্ক পরে থাকলে তা ঘামে ভিজে গিয়ে একটা অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়।
কখন মাস্ক পরতেই হবে
আউটডোর ব্যায়াম করতে চান অথচ মাস্ক ছাড়া স্বস্তিবোধ করছেন না? আপনার হাঁপানি বা হার্টের সমস্যা থাকলে কিন্তু একেবারেই মাস্ক পরে ব্যায়াম করা চলবে না। এমনিতে যারা সুস্থ, তারাও মাস্ক পরে কোনোরকম ভারী এক্সারসাইজ করা থেকে বিরত থাকুন। জোর করে ব্যায়াম চালিয়ে যাবেন না, একটু ক্লান্ত লাগলেই থামিয়ে দিন।