logo
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৯:৩৮
‘ইচ্ছা করলেও মুভ করতে পারছি না’

‘ইচ্ছা করলেও মুভ করতে পারছি না’

মারিয়োপোল ছেড়ে কিয়েভে চলে যাচ্ছেন ঐ শহরে বসবাসরত বাংলাদেশি ছাত্ররা। তবে তাদের ইচ্ছা পশ্চিম ইউক্রেনের নিরাপদ কোথাও গিয়ে আশ্রয় নেওয়া

ইউক্রেনের সময় ভোর পাঁচটায় বিকট একটা বোমার শব্দে ঘুম ভাঙে মারিয়োপোল শহরে বাংলাদেশি ছাত্র আহমেদ ফাতেমি রুমির। শহরের বিভিন্ন দিক থেকে আনুমানিক আটটি বা দশটি হামলা হয়েছে বলে তারা শুনছেন।

মাত্র দুমাস আগে বাংলাদেশ থেকে সেখানে মারিয়োপোল স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতি পড়তে গেছেন রুমি। তারা ভয়ের মধ্যে আছেন বলে বিবিসি বাংলাকে তিনি জানিয়েছেন।

রুমি বলেন, ‘ইউক্রেন সরকার সামরিক আইন জারি করে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাওয়া নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। ফলে ইচ্ছা করলেও আমি এখান থেকে মুভ করতে পারছি না।’

বাজার, দোকান, শপিং মল আর ব্যাংকে মানুষের প্রচুর ভিড় এবং আতঙ্কিত মানুষ মজুত করার জন্য শুকনো খাবার কিনতে শুরু করেছে বলে তিনি জানান। তবে রাস্তাঘাটে অন্য সময়ের তুলনায় মানুষ অনেক কম। ‘প্রতিটি এটিএম বুথের সামনে কম করে হলেও ৬০ থেকে ১০০ জন মানুষ লাইন দিয়ে আছে এবং টাকা তুলছে।’

আহমেদ ফাতেমি রুমি জানাচ্ছেন, তার বিশ্ববিদ্যালয় সকাল ১০টার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

তিনি মারিয়োপোল ছেড়ে নিরাপদ কোনো শহরে যাওয়ার জন্য রেল স্টেশন ও বাস স্টপে দৌড়াদৌড়ি করছেন সকাল থেকে। কিন্তু শহর ছাড়তে তিনি এখনো সফল হননি বলে জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ে দশ থেকে বারো জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে বলে তিনি জানান।