logo
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১০:৩৬
সেতু আছে, তবুও দুর্ভোগ
আল আমিন, চাঁদপুর

সেতু আছে, তবুও দুর্ভোগ

সেতু আছে, তবুও দুর্ভোগ

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নির্মাণের তিন বছরেও ব্যবহার উপযোগী হয়নি একটি সেতু। গত তিন বছরেও এ সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি পড়েনি। ফলে ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের উত্তর চরবড়ালী ও দক্ষিণ চরবড়ালী সংলগ্ন কয়েক গ্রামের মানুষসহ সেতুটির ওপর দিয়ে যান চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। এ যেন থেকেও না থাকার অবস্থা!

উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন উত্তর চরবড়ালী মহব্বত আলী পাটোয়ারী বাড়ি সংলগ্ন পোয়া খালের ওপর নির্মিত সেতুটি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সেতুটি অকেজো হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে সেতু নির্মাণ করলেও কাজে আসছে না সাধারণ মানুষের।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন উত্তর চরবড়ালী ও দক্ষিণ চরবড়ালী সংলগ্ন কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ১৫ লাখ ৯১ হাজার ৭৫৩ টাকা ব্যয়ে চরবড়ালী-রামপুর সড়কের চরপোয়া খালের ওপর সেতুটি নির্মিত হয়। সেতুটি নির্মাণের তিন বছর পার হয়ে গেলেও দুই পাশের সংযোগ সড়কে মাটি দেয়নি ঠিকাদার, জনপ্রতিনিধিসহ কর্তৃপক্ষ।

উত্তর চরবড়ালী গ্রামের বাসিন্দা শামীম, ইয়াসিন ও আইয়ুব আলীসহ অনেকেই জানান, অল্প কিছু বালি দিয়েই দায় সেরেছে ঠিকাদার। ফলে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেও সেতুটি আমাদের কোনো কাজে আসছে না।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসইউ এন্টাপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কামাল হোসেন বলেন, ‘অ্যাপ্রোচের মাটি দেয়া হয়েছে, হয়তো মাটি এখন সরে গেছে আমি কয়েকদিনের মধ্যে গিয়ে সেতুটি দেখব।’

ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন রিপন ভোরের আকাশকে বলেন, ‘এটি আমার ইউনিয়েনের কয়েকটি গ্রামের একমাত্র সড়ক। এই সড়কটির উল্টর চরবড়ালী পোয়া খালের ওপর সেতুটির অ্যাপ্রোচে মাটি না থাকায় অকেজো হয়েছে। লোকজনের যাতায়াতের সুবিধার্থে সেতুটির অ্যাপ্রোচে মাটি দিয়ে কিছু দিনের মধ্যে ভরাট করে দেব।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিল্টন দস্তিদার ভোরের আকাশকে বলেন, ‘তিন বছর আগে পোয়া খালের ওপর সেতুটি করা হয়েছে। হয়তো দুই পাশে অ্যাপ্রোচের মাটি সরে গেছে। আমি এক সপ্তাহের মধ্যে মাটি দিয়ে ভরাট করার ব্যবস্থা করব।’