logo
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৫:৫৬
শতভাগ উৎসব ভাতাসহ ৫ দাবি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের
নিজস্ব প্রতিবেদক

শতভাগ উৎসব ভাতাসহ ৫ দাবি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের

জাতীয় প্রেসক্লাবে শুক্রবার বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি- ভোরের আকাশ

আগামী ঈদেই শতভাগ উৎসব ভাতা ও সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো বাড়িভাড়া প্রদানসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ।

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বাবুল। পরিষদ সভাপতি নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল চন্দ্র চৌধুরী প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরিষদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের মতো বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ৬ষ্ঠ গ্রেড এবং সহপ্রধানদের ৭ম গ্রেড প্রদান করা। মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহপ্রধানদের দুটি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের সুষ্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া।

বেসরকারি শিক্ষকদের ঐচ্ছিক বদলি এবং প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহপ্রধানদের এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। মুজিববর্ষেই মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়া।

মজিবুর রহমান বাবুল লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত ও টেকসই উন্নয়নের জন্য এ দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের দৃষ্টিতে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ মনে প্রাণে বিশ্বাস করে আমাদের এ দাবি দাওয়া আদায়ের জন্য আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে হবে না।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দাবিগুলো মেনে নিবেন। আমরা শিক্ষক, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শোভা পায়, আমরা রাজপথে যেতে চাই না। রাজপথ আমাদের জন্য নয়। তবে আমাদের এ দাবিগুলো মেনে না নিলে দাবির পক্ষে জনমত সৃষ্টি ও দাবি আদায়ের জন্য এ দেশের শিক্ষক সমাজ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।’

তিনি বলেন, দাবি আদায় না হলে আগামী ১১ মার্চ সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ও প্রত্যেক জেলায় শিক্ষকবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। এসব দাবি বাস্তবায়নে আগামী ১৫ মার্চ প্রতি জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বাবুল।