দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই আফগান ব্যাটারদের দারুণ চেপে ধরেছে টাইগার বোলাররা। দলীয় ৯ ওভারেই তিনটি উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছে সফরকারীরা।
খেলার প্রথম ওভারে ‘দ্য ফিজ’ মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে বল তুলে দেন টাইগার ক্যাপ্টেন তামিম ইকবাল। দারুণ বল করলেও শেষ বলে তাকে চার মেরে বড় ইনিংসের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আফগান ওপেনিং ব্যাটার রহমতুল্লাহ জাজাই। তবে ম্যাচের চেহারাটাই যেন বদলে গেল দ্বিতীয় ওভারে শরিফুল বোলিংয়ে আসায়।
প্রান্ত বদল হওয়ার পর শরিফুলের অফ স্ট্যাম্পের ওপর করা প্রথম লেংথ বলটি মিড উইকেটে ঠুকে দিয়ে তড়িঘড়ি এক রান নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অপর ব্যাটার রিয়াজ হাসান। তবে দৌড়ে অপর প্রান্তে পৌঁছার আগেই দারুণ থ্রোতে তার স্ট্যাম্পের বেল উপড়ে দেন আগের ম্যাচের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় আফিফ। সাজঘরে ফেরার আগে রিয়াজের ঝুলিতে জমে মাত্র ১ রান।
দলীয় ৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
চট্টগ্রামের এম এ জহুর স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দর্শকদের আরও মাতোয়ারা করেন শরিফুল তার প্রথম স্পেলের দ্বিতীয় ওভারে। দলীয় চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে শরিফুলের একটি এজ কাট করতে গিয়ে সোজা উইকেট কিপার মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন ওপেনিং ব্যাটার রহমতুল্লাহ জাজাই। দলীয় রান তখন মাত্র ১৬।
এরপর নবম ওভারে এসে দলীয় ৩৪ রানে আজমতুল্লাহকে তুলে দেন সাকিব আল হাসান। তার প্রথম ওভারের প্রথম বলটি এগিয়ে এসে মিড উইকেটে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই। কিন্তু, বল তাকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায় কিপার মুশফিকের হাতে। মুহূর্তে তার স্ট্যাম্প উপড়ে দেন মুশি।
এর আগে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫০ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান করেছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন লিটন দাস। তার ১২৬ বলে করেন ১৩৬ রানের সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের ৯৩ বলে ৮৬ রানে নিরাপদ সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
প্রসঙ্গত প্রথম ওয়ানডেতে শুরুতে ৬টি উইকেট হারিয়ে ফেললেও আফিফ ও মিরাজের অভাবনীয় বীরত্বে দারুণ জয় পায় বাংলাদেশ।