চড়াই উৎড়াইয়ের ভেতর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সফরকারী আফগানিস্তানের ইনিংস। দলীয় ৩১ ওভারে দলীয় এ রান সংগ্রহ করেছে সফরকারীরা। ভীষণ চাপে আছেন নতুন দুই ব্যাটার রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবী। ফিরে গেছেন নাজিবুল্লাহ জারদান ও রহমত শাহ।
খেলার প্রথম ওভারে ‘দ্য ফিজ’ মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে বল তুলে দেন টাইগার ক্যাপ্টেন তামিম ইকবাল। দারুণ বল করলেও শেষ বলে তাকে চার মেরে বড় ইনিংসের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আফগান ওপেনিং ব্যাটার রহমতুল্লাহ জাজাই। তবে ম্যাচের চেহারাটাই যেন বদলে গেল দ্বিতীয় ওভারে শরিফুল বোলিংয়ে আসায়।
প্রান্ত বদল হওয়ার পর শরিফুলের অফ স্ট্যাম্পের ওপর করা প্রথম লেংথ বলটি মিড উইকেটে ঠুকে দিয়ে তড়িঘড়ি এক রান নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অপর ব্যাটার রিয়াজ হাসান। তবে দৌড়ে অপর প্রান্তে পৌঁছার আগেই দারুণ থ্রোতে তার স্ট্যাম্পের বেল উপড়ে দেন আগের ম্যাচের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় আফিফ। সাজঘরে ফেরার আগে রিয়াজের ঝুলিতে জমে মাত্র ১ রান।
দলীয় ৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
চট্টগ্রামের এম এ জহুর স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দর্শকদের আরও মাতোয়ারা করেন শরিফুল তার প্রথম স্পেলের দ্বিতীয় ওভারে। দলীয় চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে শরিফুলের একটি এজ কাট করতে গিয়ে সোজা উইকেট কিপার মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন ওপেনিং ব্যাটার রহমতুল্লাহ জাজাই। দলীয় রান তখন মাত্র ১৬।
এরপর নবম ওভারে এসে দলীয় ৩৪ রানে আজমতুল্লাহকে তুলে দেন সাকিব আল হাসান। তার প্রথম ওভারের প্রথম বলটি এগিয়ে এসে মিড উইকেটে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই। কিন্তু, বল তাকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায় কিপার মুশফিকের হাতে। মুহূর্তে তার স্ট্যাম্প উপড়ে দেন মুশি।
এর আগে পানি পানের বিরতির পর সাকিব বল করতে এলে তৈরি হয় ভীষণ নাটকীয়তা। তার প্রথম বলেই তুলে মারেন নাজিবুল্লাহ জারদান। সোজা বলটি ফিল্ডার শরিফুলের হাতে এলেও তা জমাতে পারেননি তিনি। উল্টো তার হাত থেকে ছিটকে বল চলে যায় বাউন্ডারির ওপারে। আউটের বদলে আফগানিস্তানের ঝুলিতে জমা হয় ৬ রান। এরপরের বলেই নাজিবুল্লাহর মারা শট সাকিবের ‘হাত’ ছুঁয়ে নন স্ট্রাইকিং প্রান্ত ছুঁয়েছে কিনা তা নিয়ে রিপ্লের পর রিপ্লের নাটক জমে। প্রথমে থার্ড আম্পায়ার বলটিতে সাকিবের হাত লেগেছে এমন ঘোষণা দিয়ে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা রহমত শাহকে আউট ঘোষণা করেন। পরে আবার রিপ্লে দেখে তাকে নট আউট ঘোষণা করেন।
এর আগে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫০ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান করেছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন লিটন দাস। তার ১২৬ বলে করেন ১৩৬ রানের সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের ৯৩ বলে ৮৬ রানে নিরাপদ সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
প্রসঙ্গত প্রথম ওয়ানডেতে শুরুতে ৬টি উইকেট হারিয়ে ফেললেও আফিফ ও মিরাজের অভাবনীয় বীরত্বে দারুণ জয় পায় বাংলাদেশ।