স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ শহীদুল ইসলাম (চুন্নু) এর ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মরণসভা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল আটটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে শহীদ শহীদুল ইসলাম চুন্নু স্মৃতি স্মারকে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং স্মরণসভার আয়োজন করে তারা।
এসময় নেতারা শহীদ চুন্নুর সাহসিকতা, দেশ ও সংগঠনের জন্য আত্মত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন কথা তুলে ধরেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, চুন্নু ভাই যখন প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে যাচ্ছিলেন তখন তাকে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে হত্যা করা হয়। বর্তমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে তিনি অমর হয়ে আছেন।
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, চুন্নুকে হত্যা করা হলেও এদেশকে কখনোই জামায়াত শিবিরের অভয়াশ্রম করা যাবে না। তিনি বলে,শহীদ চুন্নু ছিলেন এক অকুতোভয় বীরের নাম। শহীদ চুন্নু তৎকালীন সময়ে নেত্রীর কাজ করে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেসময় বিপরীত শক্তি তাকে টার্গেট করে হত্যা করে।
ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, শহীদ শহীদুল ইসলাম চুন্নু ছিলেন একজন নির্ভীক নেতা। এখনও শহীদ চুন্নু ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে একজন আদর্শ হয়ে আছেন।
জহুরুল হক হলের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা বলেন, শহীদ চুন্নু আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। তার চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ারও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
স্মরণসভায় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, জহুরুল হক হলের সাবেক ভিপি খলিলুর রহমান মোহন, সাবেক জিএস লুৎফর রহমান সেন্টু, শহীদ চুন্নুর সহযোদ্ধা ও জহুরুল হক হলের সাবেক জিএস মোশাররফ হোসেন রাজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান আনসারী, শহীদ চুন্নুর ছোট ভাই আনিসুর রহমানসহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদুল ইসলাম চুন্নু শহীদ হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।