যতদিন দেশে করোনার অস্তিত্ব থাকবে, ততদিন পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার প্রিপারেটর স্কুলের টিকা কেন্দ্র পরিদর্শনকালে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে স্থায়ী লোকের চেয়ে ভাসমান মানুষের সংখ্যা বেশি। এ জেলার ৬০ লাখ মানুষের বসবাস। তবে বেশিরভাগ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। গত দুই দিনে পাঁচ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সারাদেশে উৎসব আমেজে টিকা কার্যক্রম চলছে। ২০ হাজার টিকা কেন্দ্রে আজকের গণটিকা কার্যক্রম হয়েছে। প্রায় এক লাখ স্বাস্থ্যকর্মী টিকাদান কাজে নিয়োজিত আছেন। আমরা আশা করি, এক কোটি মানুষকে আমাদের টিকা দেয়ার যে লক্ষ্য ছিল, সেটি আরো বেশি হবে।’
লোকমান হোসেন বলেন, ‘ইতোমধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল-কলেজের এক কোটি ৬০ লাখ ছেলে-মেয়েদের টিকাদান সম্পন্ন করেছি। বাকিদেরকেও এ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।’ যারা এখনো টিকা নেননি তাদের টিকা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সিভিল সার্জন মশিউর রহমান জানান, নারায়ণগঞ্জ ২১৩ টিকা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এ জেলার সাড়ে তিন লাখ মানুষকে করোনার প্রথম ডোজের আওতায় আনা হবে। টিকা কেন্দ্রগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের পাশাপাশি পোশাক কারখানার শ্রমিকরদের উপস্থিতি বেশি ছিল বলে জানান তিনি।
এ সময় নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিস, সিভিল সার্জন আ ফ শ মশিউর রহমানসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।