ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংটা ভালো হয়নি সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার। তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে তারা ১৪০ রান করেছে। তবে হারাতে হয়েছে ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসের এ রান নিয়ে তারা এরই মধ্যে ২১১ রানে এগিয়ে রয়েছে। ক্রিজে আছেন কাইল ভেরেনি ও উইয়ান মুল্ডার। তাদের সংগ্রহ যথাক্রমে ২২ ও ১০।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ৩৬৪ রানের জবাবে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ২৯৩ রানে সব উইকেট হারায়। স্বাগতিক দলকে স্বল্প রানে বেঁধে রাখার কীর্তিটা একার করে নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। ৫ উইকেট শিকার করেছেন। নিউজিল্যান্ডকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করার কীর্তির পুরোটা রাবাদাকে দিলে অবিচার করা হবে মার্কো ইয়ানসেনের প্রতি। কেননা রাবাদাকে যোগ্য সহযোগিতা দিয়েছেন ইয়ানসেন। রান খরচ একটু বেশি করেছেন তবে তার শিকার সংখ্যা চার।
রাবাদা এ নিয়ে ক্যারিয়ারে ১১ বার ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছেন। একবার তো হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলেন। পরপর দুই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।
সোমবার ম্যাচের চতুর্থ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ আরও বাড়বে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এরই মধ্যে নিউজিল্যান্ডের সামনে তারা কঠিন লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছে। কেননা এর মধ্যে ক্রাইস্টচার্চে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দিয়েছে প্রোটিয়ারা।
দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরু থেকেই উইকেট হারিয়েছে। ৩৮ রানেই তারা ৩ উইকেট হারিয়েছিল। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান সারেল এরউই এ ইনিংসে মাত্র ৮ রানে আউট হয়েছেন। ব্যর্থতার তালিকায় ছিলেন অধিনায়ক ডিন এলগার (১৩) ও এইডেন মারক্রাম (১৪)। তবে রাশি ভ্যান ডার ডুসেনের দায়িত্বশীল ব্যাটিং দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করে। ৪৫ রান করেন তিনি। এছাড়া টেম্বা বাভুমা ২৩ রান করেন। টিম সাউদি ও নিল ওয়াগনার দুটো করে উইকেট শিকার করেন।
কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেনের বিধ্বংসী বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ড যখন ধ্বংস্তুপে পরিণত হওয়ার অপেক্ষায় তখন দূর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন কলিন ডি গ্রান্ডহোমে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন। ষষ্ঠ উইকেটে ড্যারিল মিচেল সঙ্গে ১১৩ রানের জুটি গড়েন। ১৫৮ বলে এ রান করেন তিনি। ১২ বাউন্ডারি ও তিন ওভার বাউন্ডারিতে ১২০ রানে অপরাজিত থাকেন। মিচেল ৬০ রান করেন। ১৩৪ বলে তিনি এ রান করেন।