সকল ধরণের চাকরি এবং নিয়োগ পরীক্ষায় বয়সসীমা বৃদ্ধি, প্রশ্নফাঁসরোধসহ চার দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে সর্বদলীয় চাকরি প্রত্যাশি ঐক্য পরিষদ।
আজ রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে মিছিল বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সমাবেশ করে তারা। এ সময় তারা ‘৩০ এর গণ্ডি ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’, ‘প্রশ্নফাঁসের বিরুদ্ধে
আগুন জ্বালো একসাথে’, প্রশ্নফাঁসের আগ্রাসন মানিনা মানব না’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘আওয়ামী সরকার, কথা রাখা দরকার’, ‘নির্বাচনী ইশতেহার পালন কর, করতে হবে’ প্রভৃতি স্লোগান দেয়।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘মুজিব শর্তবর্ষের একটি অঙ্গিকার ছিলো যুব প্রজন্মের জন্য আরো বেশি পরিমাণে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে অনেক শূণ্যপদের চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। যেখানে বর্তমানে সরকারিতে শূণ্যপদ প্রায় ৪
লক্ষ। করোনার কারণে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিমাণ ৮৭% কমে ১৩% উপণীত হয়েছে; বেকারত্বের হার ২০% থেকে ৩৫% বেড়েছে। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি ছিল চাকরিতে
আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ৩ বছর পূর্বের ছাত্র সমাজকে দেওয়া সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
সমাবেশে সর্বদলীয় চাকরি প্রত্যাশি ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক মানিক হোসেন দিপু বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে সকল চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধির দাবি নিয়ে এক প্রকার অসহায় হয়ে সরকারি দপ্তর ঘুরেছি।
আমরা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এবং মন্ত্রী পরিষদ, জনপ্রশাসন, মুখ্যসচিববৃন্দ প্রমুখ বরাবর স্মারকলিপি ও খোলা চিঠি প্রদান করেছি। কিন্তু কোনো সাড়া
পাইনি। রাজপথে দাঁড়ালে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, মন্ত্রীর কাছে গেলে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। আমরা যাব কোথায়?’
তিনি আরো বলেন, ‘করোনাকালে অনেকে প্রণোদনা পেলেও আমাদের যুবকদের জন্য কোনো প্রণোদনা দেয়া হয়নি। চাকরি না পেয়ে হতাশায় আমাদের যুবকেরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। আমাদের সঙ্গে প্রহসন করা হয়েছে।’
চাকরি প্রত্যাশি ঐক্য পরিষদের আরেক সমন্বয়ক তাসলিমা লিমা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ দশমাস যাবত চারটি দাবি নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেছি।
সবাই একমত হয়েও কোনো অজানা কারণে এটি আটকে আছে। আমরা ‘৬৯ এ গণঅভ্যুত্থান করেছি, আমরা আরো একবার অভুত্থান করব। আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে। চাকরিতে কারো জন্য ৩০বছর কারো জন্য ৩২ বছর
এটি আমরা মানি না। ’এ সময় চারটি দাবি তুলে ধরেন তারা। দাবিগুলো হলো :
এক. সকল চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি করা। দুই. নিয়োগ জালিয়াতি ও প্রশ্নফাঁস বন্ধ করা এবং নিয়োগ পরীক্ষার (প্রিলি ও রিটেন) মার্কসহ ফলাফল প্রকাশ করা। তিন. চাকুরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করা। চার. একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরিক্ষা বন্ধ করে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।