logo
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:১৩
নতুন ইসি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে বলে সন্দেহ আছে: জাতীয় পার্টি
নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন ইসি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন
করতে পারবে বলে সন্দেহ আছে: জাতীয় পার্টি

নবগঠিত নির্বাচন কমিশনকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আমলা নির্ভর বলে মনে করে মহাজোটের অন্যতম শরিক ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পার্টির বনানী চেয়ারম্যান কার্যালয়ে দলের প্রেসিডিয়াম

সভা শেষে নির্বাচন কমিশন নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, নব নিযুক্ত নির্বাচন কমিশন হচ্ছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আমলা নির্ভর কমিশন।

তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে বলে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাদের কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করবে তারা কতোটা নিরপেক্ষ।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব চুন্নু বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কেউই নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ জিতলে বিএনপি বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি আবার বিএনপি জিতলে

আওয়ামী লীগ বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।

জাপা সব সময় বলে আসছে বাংলাদেশে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেও নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গেলো ত্রিশ বছরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিই প্রমাণ করেছে কেয়ারটেকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না।

তিনি বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আনুপাতিক হারে নির্বাচন পদ্ধতির বিকল্প নেই। শুধু আনুপাতিক হারে নির্বাচন পদ্ধতিতে নির্বাচন সুষ্ঠু

হওয়া সম্ভব বলেও মনে করেন সাবেক এই মন্ত্রী।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একে অপরকে বিশ্বাস করতে হবে এবং সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি একমত না হয় তাহলে কখনোই বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না।

বর্তমান নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সময়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা নির্বাচন কমিশনের অধিনে কাজ করবেন এ কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তারা নির্বাচন কমিশনের আদেশ শুনতে বাধ্য। কিন্তু, না শুনলে কি

হবে সে বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। আমাদের দাবি ছিলো নির্বাচনকালীন সময়ে কমিশনের কথা কেউ না শুনলে তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নিতে পারে সেই ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন করতে হবে। সেই আইন সরকার করেনি।

নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন করলে যদি কমিশনের সদিচ্ছা থাকে তাহলে হয়তো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে। এ ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন দূরুহ বিষয়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখী দল, নির্বাচনের বাকি আরো দুই বছর। তাই নির্বাচনের আগে আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেবো আমরা নির্বাচনে যাবো কি না।

এর আগে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের বনানী মিলনায়তনে দলের চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি’র সভাপতিত্বে পার্টির প্রেসিডিয়ামের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাড. সালমা ইসলাম এমপি, মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, মো. আবুল কাশেম, হাফিজ

উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফকরুল ইমাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, হাবিবুর রহমান, সুনীল শুভরায়, এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ প্রমুখ।