logo
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:৫৯
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দিচ্ছে বেলারুশও

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দিচ্ছে বেলারুশও


রাশিয়ার মিত্রদেশ বেলারুশ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আন্দ্রি জাগোরোদনিউক।

আন্দ্রি জাগোরোদনিউক বলেন, ‘বেলারুশ প্রজাতন্ত্র ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বেলারুশ প্রজাতন্ত্রের বিমান সেনারা ইউক্রেনে প্রবেশ করার জন্য রাশিয়ার দিক দিয়ে প্যারাস্যুটে করে নামছে।

এটি একটি ভয়ানক ঘটনা কারণ এই দেশটি খুব সম্প্রতি সময়েও ইউক্রেনের ভাল বন্ধু ছিল। এই দেশটির জনগণ সবসময় ইউক্রেনকে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে বিবেচনা করেছে।

ইউক্রেন এবং বেলারুশ তাদের শত বছরের ইতিহাসে কখনো একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ করেনি। আমরা বিশ্বাস করি, বেলারুশের এই সিদ্ধান্তের একমাত্র কারণ ছিল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের ব্যক্তিগত চাওয়া।

স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন পুতিন। তার এ নির্দেশের পরই ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। আজ তৃতীয় দিনের মতো ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া।

পূর্ব ইউক্রেনে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ নিয়ন্ত্রণে থাকা দুটি অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি এবং ওই অঞ্চলে শান্তিরক্ষার নামে সেনা পাঠানোয় একের পর এক পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ছে রাশিয়া।

আক্রমন শুরুর কিছুক্ষণ পরেই যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের পথ ধরে কানাডা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

রাশিয়ার আক্রমণ থেকে প্রাণে বাঁচতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বসবাসরত নাগরিকরা ঘরের স্নানকক্ষে আশ্রয় নিয়েছে। ওলগা কিয়েভের বাম তীরের অংশে বাস করেন।

গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিল যে, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের এক থেকে চার দিনের মধ্যে দেশটির রাজধানী দখল হয়ে যেতে পারে।

পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আশঙ্কা করেছেন যে, রাশিয়ার পরিকল্পনা হলো কিয়েভের সরকারকে পতন করা এবং একটি রাশিয়াবান্ধব সরকার গঠন করা।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছেন কোনো রকম প্রতিরোধ ছাড়াই ইউক্রেনের মেলিটপোল শহর দখলে নিয়েছে রাশিয়ার সেনারা। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই দাবি করেন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনের আজভস্কয়ের জনবহুল এলাকার কাছে নামার পর স্থানীয় সময় ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাশিয়ার সেনাদের একটি দল কোনো প্রতিরোধ ছাড়া মেলিটপোলে ঢোকে।

সূত্র : সিএনএন