logo
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২১:৩৪
টিকা প্রদানের সফলতায় আনন্দিত প্রধানমন্ত্রী
৫ বছরে ১৫ হাজার ডাক্তার ও ২০ হাজার নার্স নিয়োগ
নিজস্ব প্রতিবেদক

টিকা প্রদানের সফলতায় আনন্দিত প্রধানমন্ত্রী

এক কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দিতে পারায় আনন্দিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি টিকা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রায় ৪ হাজার নতুন নিয়োগকৃত চিকিৎসকের ওরিয়েন্টশন কর্মশালায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সকলকে ধন্যবাদ জানান।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি খুবই

আনন্দিত এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও আনন্দিত। উনি আমাকে সেই আনন্দ বার্তাও দিয়েছেন। উনি খুশি হয়েছেন। উনি বলেছেন, যারা এই টিকা কর্মসূচিতে জড়িত ছিলেন ওনার পক্ষ থেকে সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানানোর

জন্য, আমি সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

অন্যান্য খাতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের তথ্য তুলে ধরার পর স্বাস্থ্যখাতে এই সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন সেবা দিতে শুধু অবকাঠামো হলেই চলে না। সেবার মূল শক্তি হলো ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান, তারাই মানুষকে সেবা দিয়ে থাকেন। আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫

বছরে ১৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছেন। আগে ১৮ হাজার ডাক্তার ছিলো। নতুন করে ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগে ছিলো ২০ হাজার নার্স।

আরো অনেক নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। টেকনিশিয়ানদেরও নিয়োগ দেওয়া হবে। আমরা শুধু নার্স-ডাক্তার নিয়োগ দেইনি। আমাদের বেসিক সাবজেক্টের চিকিৎসক, টিচারের অভাব আছে। আমরা তাও নিয়োগ দিচ্ছি।

এনেস্থেশিয়ায় ৫০০ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বেসিক সাবজেক্টে ডাক্তার নিয়োগ দিচ্ছি এবং বাড়ানো চেষ্টা করছি।

নতুন নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব কিছুর লক্ষ্য হচ্ছে ভালো মানের চিকিৎসা সেবা। সেই ভালো মানের চিকিৎসা দিতেই সরকার আপনাদের নিয়োগ দিয়েছে। আপনারা নিজ নিজ কর্মস্থলে গিয়ে

অসহায়, দরিদ্র মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। সরকার আপনাদেরকে আবাসন সুবিধাসহ সকল ধরনের সুবিধা বৃদ্ধি করবে।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ

খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ মেডিকেল

এসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বাংলাদেশ আওয়ামী

লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহসহ অন্যান্য বক্তাগণ।