logo
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৯:৩২
আজ পবিত্র শবেমেরাজ
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ পবিত্র শবেমেরাজ

প্রতীকী ছবি

পবিত্র শবেমেরাজ বা লাইলাতুল মেরাজ আজ সোমবার। দিন শেষে যে রজনী হাজির হচ্ছে তা ঐতিহাসিক এবং মহিমান্বিত। এই রাতেই বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ঊর্ধ্বাকাশে গমন এবং আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ করেন। এ কারণে ইসলামী বিধানে শবেমেরাজের গুরুত্ব অনেক। এর মাধ্যমেই প্রত্যেক দিন ৫ বার নামাজ আদায় মুসলমানদের জন্য ফরজ হয়েছে। এদিকে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালনের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মুসলমানরা এবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে এই রাতটি উদযাপন করবেন।

ইসলাম ধর্মমতে লাইলাতুল মেরাজ বা শবেমেরাজের রাতে হজরত মুহাম্মদ (সা.) ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং স্রষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। নবুওয়তের দশম বৎসরে (৬২০ খ্রিষ্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত রাতে হজরত মুহাম্মাদ (সা.) প্রথমে কাবা শরিফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন। সেখানে তিনি নবীদের জামায়াতে ইমামতি করেন। অতঃপর বোরাক নামক বিশেষ বাহনে আসীন হয়ে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন। ঊর্ধ্বাকাশে সিদরাতুল মুনতাহায় তিনি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করেন। আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আগ পর্যন্ত সফরে ফেরেশতা জিবরাইল তার সফরসঙ্গী ছিলেন।

কোরআন শরিফের সুরা বনি ইসরাইলের প্রথম আয়াতে এ প্রসঙ্গে উল্লেখ রয়েছে। সেখানে আল্লাহতাআলা বলেন, ‘পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তার বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার আশপাশে আমি বরকত দিয়েছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা শবেমেরাজ। ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরো নবুয়তের ইতিহাসেও এটি এক অবিস্মরণীয় বিষয়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রাসুল হজরত মোহাম্মদ (সা.) ছাড়া অন্য কোনো নবী এই পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। আর এ কারণেই এ মেরাজ রজনীতেই মানবজাতির শ্রেষ্ঠ ইবাদত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়।

এদিকে পবিত্র শবেমেরাজ উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদও আলোচনা সভা দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া দেশব্যাপী সব মসজিদে মিলাদ মাহফিল, নফল নামাজ আদায়, কুরআন তেলাওয়াতসহ মুসলমানরা রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগি করবেন। এ উপলক্ষে মসজিদে মসজিদে বিশ্ব শান্তি ও মুসলিম উম্মার দোয়া কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচাল না করা হবে।