logo
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১২:১৭
যুক্তরাষ্ট্র কেন ইউক্রেনে সেনা পাঠাচ্ছে না?
অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র কেন ইউক্রেনে সেনা পাঠাচ্ছে না?

ইউক্রেন সীমান্তের ওপারে পোল্যান্ডেই রয়েছে মার্কিন সেনা

ইউক্রেনে পঞ্চমদিনের মতো আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এ নিয়ে নিন্দা-সমালোচনায় একাট্টা যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাবিশ্ব। প্রশ্ন উঠেছে, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানো সত্ত্বেও কেন যুক্তরাষ্ট্র সেনা পাঠাচ্ছে না?

ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েনের সময় থেকেই সরব ছিল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন অনেকটা স্নায়ুযুদ্ধেই জড়িয়ে পড়ে রাশিয়ার সঙ্গে। কিন্তু এরপরও ইউক্রেনকে সহায়তা করতে দেশটিতে যায়নি মার্কিন সেনা।

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের চতুর্থদিনে রোববার বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিন্ডা জানিয়েছেন, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য নয়। আর এদিক থেকেই মার্কিন সেনারা ইউক্রেনের মাটিতে পা রাখতে পারছে না।

বিশ্বযুদ্ধ লেগে যেতে পারে: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি মাসের শুরুতে এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া যদি একে অপরের দিকে গুলি ছোড়ে, তবে তাতে বিশ্বযুদ্ধ বেধে যাবে।

এ বিষয়ে রোববার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও সামরিক বিশ্লেষক লে. জেনারেল (অব) মার্ক হার্লটিং বলেন, যদিও ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ধ্বংসাত্মক। তারপরও এটি আঞ্চলিক সঙ্কট। এখন যদি যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ন্যাটো সেনা পাঠায় তবে তা বহুদেশীয় যুদ্ধে গড়াবে।

ইউরোপে মার্কিন সেনা কী করছে: ইউরোপে হাজার হাজার সেনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বৃহস্পতিবারই বলেছেন, রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য নয়, তারা রয়েছে ন্যাটোভুক্ত মিত্রদের রক্ষার জন্য।

কখন মাঠে নামতে পারে মার্কিন সেনা: ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী ন্যাটোভুক্ত দেশ পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও রোমানিয়া। এসব দেশের বিরুদ্ধে রাশিয়া হুমকি হয়ে দাঁড়ালে, তখন রুশ সেনাদের প্রতিরোধ করবে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ ন্যাটোসদস্য ৩০ দেশ।  

সূত্র: সিএনএন