logo
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:১২
কার্ডধারী অসচ্ছল ব্যক্তিরাই পাবেন টিসিবির পণ্য
পুলক পুরকায়স্থ, মৌলভীবাজার

কার্ডধারী অসচ্ছল ব্যক্তিরাই পাবেন টিসিবির পণ্য

টিসিবির পণ্য নিতে ভিড়

টিসিবির ডিলারেরা পণ্য সঠিকভাবে বিক্রি করেন না। আবার লাইনে দাঁড়িয়ে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে কম মূল্যে পণ্য কিনে তা আবার উচ্চমূল্যে বিক্রি করেন। আবার অনেকই আছেন, যারা তাদের পরিবারের একাধিক সদস্য নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য নিচ্ছেন। এমন অভিযোগ বারবার সামনে আসছে। এই কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী এবার সঠিক নিয়মে কার্ড দিয়ে টিসিবি পণ্য বিক্রির জন্য তালিকা করা হচ্ছে ইউনিয়ন পর্যায়ে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, টিসিবির পণ্য বিক্রির প্রতারণা ঠেকাতে চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগ দফায় দফায় মিটিং করে টিসিবির পণ্য বিক্রির এই নতুন কৌশল নির্ধারণ করা হচ্ছে। এখন থেকে শুধু নির্দিষ্ট কার্ডধারী অসচ্ছল ব্যক্তি বা পরিবারের কাছে টিসিবির পণ্য বিক্রি করতে পারবেন ডিলাররা। এই নিয়মের ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ কমমূল্যে পাবে টিসিবির পণ্য।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে থাকা মখলিছুর রহমান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক থেকে তালিকা তৈরির জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তালিকা প্রস্তুতের। তালিকা ইউনিয়ন থেকে উপজেলায় আসবে, উপজেলা থেকে জেলায়, জেলা থেকে মন্ত্রণালয়ে গিয়ে চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদন হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মৌলভীবাজার জেলার সাত উপজেলার মধ্যে বড়লেখায় দুই হাজার ৬৪৯, জুড়ীতে তিন হাজার ৩৫৪, কুলাউড়ায় তিন হাজার ৯৫, কমলগঞ্জে চার হাজার ৯০, সদরে চার হাজার ১৪৭, রাজনগরে দুই হাজার ৮৭১ এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলা আট হাজার ১৪৪টি কার্ডের তালিকা দেওয়ার কথা রয়েছে।

এখন চলছে ইউনিয়ন পর্যায়ে উপকারভোগী বাছাইয়ের কাজ। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ তালিকা তৈরি করে উপজেলা কমিটির কাছে পাঠাবে।

রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল বলেন, ‘জেলা প্রশাসন অফিস থেকে আমাদের তালিকা করার কথা বলা হয়েছে, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাহেবরা সেই তালিকা তৈরি করছেন।’

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে এরই মধ্যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’