যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৬ কোটি ১০ লাখেরও বেশি টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফাইজারের আরো এক কোটি ডোজ টিকা আসবে। যুক্তরাষ্ট্রের কোভিড-১৯ টিকা অনুদানপ্রাপ্ত দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

মার্কিন দূতাবাসের বার্তায় বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মোকাবেলায় নেতৃত্বদানে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে ফাইজারের তৈরি টিকার এই ধারাবাহিক অনুদান অব্যাহত রয়েছে।

মার্কিন দূতাবাসের চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স হেলেন লা-ফেইভ বলেন, ফাইজারের তৈরি টিকার সর্বশেষ এই অনুদানের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব এবং বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ টিকা বেশি প্রদানে আমেরিকার জনগণের উদারতার বিষয়টিই উঠে এসেছে। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এর মাধ্যমে নিরাপদে ও দক্ষতার সাথে মানুষের কাছে টিকা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ সরকার ও টিকা কার্যক্রমের দ্রুত সম্প্রসারণে সম্পৃক্ত সকল অংশীদারের কাজের প্রতিফলন ঘটেছে।

জাতীয় কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমের প্রতিটি ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ৯ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীকে যথাযথ টিকাদান ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে দেশটি।

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি), যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স, ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট এবং সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর মাধ্যমে কোভিড সংক্রান্ত উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে ১৩ কোটি ১০ লক্ষ ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সহায়তার মাধ্যমে মানুষের জীবন বাঁচানো এবং কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদান সম্ভব হয়েছে। রোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার সক্ষমতা-পরিবীক্ষণ, আক্রান্তের ব্যবস্থাপনা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ জোরদার হয়েছে।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ফলে সম্মুখসারীর কর্মীরা সুরক্ষা পেয়েছে এবং সংক্রমণ থেকে কীভাবে নিজেদের আরো সুরক্ষিত রাখা যায় সে বিষয়ে জনসচেতনতা বেড়েছে।

বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স কার্যক্রমের আওতায় কোভিড-১৯ এর টিকার অতি-শীতলীকৃত মজুদ, পরিবহন ও নিরাপদ ব্যবহার-বিধি অনুসরণে সহায়তার জন্য ৪ বিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।