বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত বাংলাদেশ ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। তাই অর্থনৈতিক সুযোগ বাড়াতে এর ভৌগলিক সুবিধাকে কাজে লাগাতে হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এ মন্তব্য করেছেন।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ‘ইন্দো-প্যাসিফিকের ভূ-রাজনীতি এবং বঙ্গোপসাগরের উপকূলের পুনঃসংযোগ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইএসএস) এবং বাংলাদেশে জাপানের দূতাবাস যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, চট্টগ্রামের মাতারবাড়িতে বাংলাদেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করছে জাপান। এই নতুন বন্দর ‘লজিস্টিকস,’ ‘পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি’এবং ‘ওয়াটারফ্রন্ট ইন্ডাস্ট্রির’কেন্দ্র হয়ে উঠবে। এছাড়া জাপানি অর্থায়নে বিআইজিবির অধীনে বেশ কয়েকটি বড় মাপের অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে জাইকা।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ তার বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে এবং আড়াইহাজারে জাপানি বিনিয়োগে গড়ে ওঠা প্রথম অর্থনৈতিক অঞ্চলও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত হবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ড, দুর্যোগ প্রতিরোধ এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করছে জাপান। গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে ২৪টি উদ্ধারকারী নৌযান মঞ্জুর করেছে জাপান এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কর্মকর্তাদের জন্য ‘কোস্ট গার্ড নীতি’র ওপর একটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
তিনি বলেন, জাপান ‘ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক’(এফওআইপি) অনুসরণ করে। যা এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশের জন্য শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি আনতে সহায়ক হবে।
মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, উদ্বাস্তুদের ভাসানচরে স্থানান্তর নীতিকে সমর্থন করে জাপান সরকার। ভাসানচরে ইউএনএইচসিআর এবং ডব্লিউএফপিকে দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা।