logo
আপডেট : ১ মার্চ, ২০২২ ১৮:২৬
২ বছর পর ট্রেনের হুইসেল বাজলো রমনায়
সুজন মোহন্ত, কুড়িগ্রাম

২ বছর পর ট্রেনের হুইসেল বাজলো রমনায়

করোনা মহামারীতে দীর্ঘ দুই বছর বন্ধের পর কুড়িগ্রাম-রমনা রেলপথে আবারো ট্রেন চলাচল শুরু করলো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১ মার্চ) সকালে রমনা বাজার স্টেশনে চিলমারী কমিউটার ট্রেনটির ফিতা কেটে পতাকা উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম, অতিরিক্ত সচিব (অব.) বদরুল আলম বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান আজাদ জামান, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদসহ অনেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি এই রেলপথে চলাচলকারী পার্বতীপুরগামী একমাত্র রমনা লোকাল ট্রেনটি বন্ধ করা হয়। পরে দেশের সব রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও লোকোমাস্টার ও ইঞ্জিন স্বল্পতা এবং জনবল সংকটের অজুহাতে দুই বছর ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, চিলমারী কমিউটার নামের এই মেইল ট্রেনটি রমনা বাজার স্টেশন থেকে ছেড়ে কাউনিয়া হয়ে রংপুর পর্যন্ত যাবে। আবার লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে ওই ট্রেনটি কাউনিয়া হয়ে রমনা বাজার আসবে।

সূত্র জানায়, ১৯২৮ সালের ২ আগস্ট বন্দর নগরী চিলমারী থেকে প্রথম রেলপথে রেল যোগাযোগ চালু হয়। তিস্তা থেকে কুড়িগ্রাম হয়ে চিলমারীর রমনা স্টেশন পর্যন্ত ৫৭ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ৪৩ কিলোমিটার রেলপথ পড়ে কুড়িগ্রাম জেলার ভেতরে। সে সময় যাত্রীদের সুবিধার্থে এই ৪৩ কিলোমিটার রেলপথে ৮টি স্টেশন স্থাপন করা।

সে সময়ে কুড়িগ্রাম রেলপথ চালুর পর পার্বতীপুর-রমনা রেলপথে সকালে ও সন্ধ্যা মিলে দুটি ও লালমনিরহাট-রমনা রেলপথে দুপুরে ও রাতে দুটিসহ মোট চারটি ট্রেন চালু ছিল।

২০০২ সালের দিকে হঠাৎ করে পার্বতীপুর-রমনা রুটে একটি ও লালমনিরহাট-রমনা রেলপথের দুটি ট্রেনসহ মোট তিনটি ট্রেন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে একটি ট্রেন পার্বতীপুর-রমনা রুটে সকালে রমনা এসে তিস্তা গিয়ে ফের দুপুরের ট্রেন হয়ে চলাচল করছিল।

২০২০ সালের ৮ মার্চে ট্রেনটি রমনা থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর প্রায় ২৪ মাস তা চিলমারীতে আসেনি।