logo
আপডেট : ১ মার্চ, ২০২২ ২০:৪৬
জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামোর উদ্বোধন করলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামোর উদ্বোধন করলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার

ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন (এলআইউপিসি) প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও কক্সবাজার পৌরসভায় বাস্তবায়িত জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামোসমূহ উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও কক্সবাজার পৌরসভায় ২৭ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি সফরকালীন সময় অবকাঠামোগুলো উদ্বোধন করেন ডিকসন। বাংলাদেশ সরকার, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এবং ইউএনডিপি’র সহায়তায় এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র জনাব মুজিবুর রহমান ও জাতীয় প্রকল্প পরিচালক (এলআইউপিসি) ও যুগ্ম সচিব মো. মাসুম পাটোয়ারীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘আমি এই কর্মসূচি দেখে খুবই মুগ্ধ। এ ধরনের কর্মসূচি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ঝুঁকিপূর্ণ জনগাষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করতে এবং অন্যদেরও এগিয়ে আসতে সাহায্য করবে। জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণে কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকারের একত্রে কাজ করা অন্যদের জন্য খুবই উৎসাহজনক।’

‘গত দুই দিনের সফরে আমরা দেখেছি কীভাবে এ ধরনের কর্মসূচি দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন করছে । জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের অন্য এলাকা এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশও এ কর্মসূচির দৃষ্টান্ত গ্রহণ করতে পারে। অর্থায়ন এবং অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএনডিপি’র সঙ্গে কাজ করতে পেরে যুক্তরাজ্য সরকার গর্বিত।’

ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, ‘বাংলাদেশে শহুরে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার টেকসই উন্নয়নে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এলআইউপিসি প্রকল্পের মাধ্যমে যাতে শহর এলাকায় বসবাসরত লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক বিনিয়োগ করতে পারে সে লক্ষ্যে ইউএনডিপি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন সহায়তা করে আসছে। বাংলাদেশের অব্যাহত অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় যাতে তারাও অংশ নিতে পারে সে বিষয়ে আমরা সহায়তা করছি এবং শহর ও নগর এলাকায় ‘কেউ যেন বাদ না যায়’ সে বিষয়টিও নিশ্চিতে কাজ করছি । এক্ষেত্রে সহায়তার জন্য এফসিডিও কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে বাংলাদেশের শহরগুলোতে বসবাসরত ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। তাই এলআইউপিসি প্রকল্পও স্থানীয়ভাবে অভিযোজিত জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করছে যা টেকসই পন্থা গ্রহণের মাধ্যমে শহরে দরিদ্র মানুষের জীবনমান পরিবর্তন করছে।’

বাংলাদেশ সরকার এবং এফসিডিও এর পক্ষে এলআইউপিসি প্রকল্প ইউএনডিপি কর্তৃক বাংলাদেশের ১৯টি শহরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি শহুরে দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সহনশীল/টেকসই দরিদ্র বসতি এলাকা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশের শহুরে দারিদ্র্য কমানোর প্রচেষ্টায় এফসিডিও ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। ‘এলআইউপিসি প্রকল্প’নগরে বাস্তবায়নাধীন বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে দুটি সংস্থার সর্ববৃহৎ অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প।