logo
আপডেট : ৩ মার্চ, ২০২২ ১৬:৪২
বাংলাদেশে বিশ্বের তুলনায় দ্রব্যমূল্য কম বেড়েছে: তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে বিশ্বের তুলনায় দ্রব্যমূল্য কম বেড়েছে: তথ্যমন্ত্রী

বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বাংলাদেশে আগে দাবি করা হতো, শ্রমিকের মজুরি হতে হবে সাড়ে তিন কেজি চালের মূল্যের সমান। এখন একজন শ্রমিক কমপক্ষে ১২ থেকে ১৫ কেজি চালের মূল্যের সমান মজুরি পায়। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। আপনি যদি ভোগ্যপণ্যের দামের কথা চিন্তা করেন তাহলে ভারতে, ইউরোপে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সমস্ত ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বাংলাদেশে সেই তুলনায় অনেক কম বেড়েছে।'

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি চাঁদের হাট আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি।

মন্ত্রী আরো বলেন, 'বাংলাদেশে আগে দাবি করা হতো, শ্রমিকের মজুরি হতে হবে সাড়ে তিন কেজি চালের মূল্যের সমান। এখন একজন শ্রমিক কমপক্ষে ১২ থেকে ১৫ কেজি চালের মূল্যের সমান মজুরি পায়। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। আপনি যদি ভোগ্যপণ্যের দামের কথা চিন্তা করেন তাহলে ভারতে, ইউরোপে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সমস্ত ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বাংলাদেশে সেই তুলনায় অনেক কম বেড়েছে।'

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে মন্ত্রী আরো বলেন,সবসময়ই বেড়েছে, কখনো কমেনি- এমন দাবি করে তিনি আরও বলেন, 'যখন বাংলায় দুর্ভিক্ষ হয় তখন এক আনা অর্থাৎ ১৬ পয়সায় কয়েক কেজি চাল পাওয়া যেত। কিন্তু বাংলায় দুর্ভিক্ষ হয়েছে। দেখতে হবে যে দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে কিনা। গত ১২ বছরে মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে সাড়ে ৪ গুণ এবং নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে ৩ গুণ। মধ্যম আয়ের মানুষেরও ক্রয়ক্ষমতা তার কাছাকাছি বেড়েছে।'

বিএনপির উদ্দেশে মন্ত্রী আরো বলেন, 'বিএনপি বেশ কিছুদিন ধরে কর্মসূচি পালন করছে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে তারা সারাদেশে নির্বিঘ্নে কর্মসূচি করেছে। কিছু কিছু জায়গায় তারা নিজেরা নিজেরা মারামারি করেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা বলে তারা যে কর্মসূচি দিয়েছে সেটাও তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পালন করেছে। তাদের কোন অসুবিধা কোন জায়গায়ই হয়নি। তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করুক সেটিই আমরা চাই। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সংহত করতে এসবের প্রয়োজন আছে।'

তবে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, 'কিন্তু কোন সমাবেশ করতে গিয়ে যদি বিশৃঙ্খলা করে যেগুলো বিএনপি সবসময় করে এসেছে, জনজীবনে বিপত্তি ঘটায় কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করে তখন তো পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হয়। যখন তারা নিজেরা মারামারি করে সেটা ঠেকানোর জন্যেও পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তাদের অন্যান্য নেতা যারা কথা বলছেন আমি তাদের অনুরোধ জানাবো সরকারের দিকে আঙুল না তুলে নিজেদের মারামারিটা আগে বন্ধ করেন।'