logo
আপডেট : ৪ মার্চ, ২০২২ ১১:৩৬
উপজেলা পরিষদ যেন ‘গরুর হাট’!
কামরুল ইসলাম মাহি, সিলেট

উপজেলা পরিষদ যেন ‘গরুর হাট’!

বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভবনে বেঁধে রাখা হয়েছে গরু

দরজা-জানালার কাঠ নষ্ট হয়ে ভেঙে পড়ার উপক্রম প্রায়। ভবনের সামনে বর্ষায় জল-কাদা আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালি লেগে থাকে। ছাদ ও দেয়াল বৃষ্টির পানিতে ভিজে চুনকাম উঠে গিয়ে স্যাঁত স্যাঁতে অবস্থা। ভবনগুলোর বিভিন্ন স্থানে খসে পড়ছে পলেস্তারা। এমনকি সেখানে অবাধে গরু-ছাগল প্রবেশ করে। হুট করে দেখলে মনে হবে এটি কোনো গরুর হাট!

এমন পরিবেশে চলছে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভবনে বিভিন্ন দপ্তরে প্রশাসনিক কাজ। এতে সেবা নিতে আসা মানুষ চরম বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপজেলার অফিসপাড়ার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে কাজ চলছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ১৯৮২ সালের ৭ নভেম্বর ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে বালাগঞ্জ থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। এরপর গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে এসব ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় গত কয়েক বছর থেকে ভবনগুলো জরাজীর্ণ ও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের দরজা-জানালার কাঠ নষ্ট হয়ে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিসের সামনে বছরের অধিকাংশ সময় জল-কাদা লেগে থাকে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফিল্ড এক্সটেনশন ফ্যাসিলিটি সেন্টারের (এফইএফ) ভবন দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত।

পরিত্যক্ত অবস্থায় চলে গেছে বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভবন

 

প্রশাসনিক ভবনগুলোর চতুর্দিকে সীমানা দেয়াল না থাকায় গরু-ছাগল ঢুকে পড়ছে। অবাধ বিচরণের কারণে প্রায় সময়ই বিভিন্ন অফিসের বারান্দায় গরু-বাছুর শুয়ে থাকতে দেখা যায়। উপজেলা চেয়ারম্যান ভবনের নিচতলায় থাকা শৌচাগারের অবস্থা ব্যবহারের অনুপযোগী।

বালাগঞ্জের বাসিন্দা এএস রায়হান জানান, উপজেলা পরিষদের প্রতিটি ভবন দেখে মনে হয় এটি পরিত্যক্ত বাড়ি। ঝোপ-জঙ্গল আর ডোবা তো আছেই। এতে উপজেলা প্রশাসনিক দপ্তরের সৌন্দর্য বিনষ্ট হচ্ছে। তারা সেবা নিতে এসে বিব্রত বোধ করেন। দ্রুত এ উপজেলা পরিষদকে আধুনিকায়ন করে পরিপাটি করার দাবি জানান তিনি।

বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজিনা আক্তার দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, ‘আমি এ উপজেলায় আসার পর থেকেই উপজেলা পরিষদকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে কাজ করে যাচ্ছি। এখানে ভবনগুলো বেশ পুরাতন। নতুন করে সংস্কার করা দরকার। আমরা সংশ্লিষ্ট মহলের নজরে বিষয়টি দিয়েছি।’

বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর বলেন, ‘ভবনগুলো নতুন করে নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।