রাজধানীর গাবতলী, কল্যাণপুর, কমলাপুর, যাত্রাবাড়ী ও কাঁচপুর ব্রিজসহ বাসস্ট্যান্ডগুলোকে টার্গেট করে মাঠে নামে ছিনতাইকারীদের এ চক্রটি। ওইসব এলাকায় ওৎ পেতে থাকতেন মোবাইল ছিনতাই চক্রের এই সদস্যরা। সময়-
সুযোগ বুঝে যাত্রী-পথচারীদের ফোন ছিনিয়ে দৌড় দিতেন।
র্যাব বলছেন, গত চার মাসে চক্রটি প্রায় ৪৫৫টি মোবাইল ছিনতাই করেছে। এই চক্রটির দশ সদস্যকে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এসব চোরাই মোবাইল বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতেন তারা।
অনেক নতুন মোবাইলও ছিনতাই করেছে তারা, যা ব্যবসায়ীরা কম দামে কিনে পরে বেশি দামে বিক্রি করে।
আজ শুক্রবার (৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলি র্যাব-৩ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার মেজর জুলকার নায়েন প্রিন্স। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ছিনতাই চক্রটির সদস্যদের ওপর
গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র্যাব-৩। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার (০৩ মার্চ) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ মোবাইল ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো- মো. জাহাঙ্গীর (৪০), মো. সাজু মন্ডল ওরফে সাহাজুল (৪৫), মো. জাকির হোসেন (৩৪), মো. রাসেল ওরফে মিঠু (৩০) ও মোক্তার হোসেন (৩৩)। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ৪৫৫টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের
অ্যান্ড্রয়েডসহ বাটন মোবাইল ফোন ও নগদ ১৮ হাজার ৯৫০ টাকা জব্দ করা হয়।
মেজর জুলকার নায়েন প্রিন্স বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডকেন্দ্রিক বিশেষ করে ছুটির দিনে (শুক্র ও শনিবার) যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় সক্রিয় থাকে তারা। শুধু মোবাইল ছিনতাই নয়, অনেক সময় তারা পথচারীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়।
তিনি বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন থানায় চক্রটির সদস্য সাজু মন্ডলের নামে তিনটি, রাসেলের নামে দুটি ও মোক্তার হোসেনের নামে দুটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ভোগ করেছেন তারা। তবে
কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে ফের অপরাধের সঙ্গে নিজেদের জড়ান।