শেরপুরে কবর খুঁড়ে ১৪টি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রাতে সদর উপজেলার রৌহা সার্বজনীন কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বজনরা।
ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো এক সময় চোরচক্র কবর খুঁড়ে এসব কঙ্কাল চুরি করেছে। শুক্রবার (৪ মার্চ) দুপুরে জুমার নামাজের পর স্থানীয়রা কবরস্থানে গিয়ে দেখেন কঙ্কাল নেই।
স্থানীয় শিক্ষক আবু জাহিদ জানান, জুমার নামাজের পর একজন তার আত্মীয়ের কবর জিয়ারত করতে বাজারের পাশের কবরস্থানে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান কয়েকটি কবর খোঁড়া।
পরে আশপাশের লোকজনকে ডাক দিলে তারা আসেন এবং দেখতে পান ১৪টি কবর খোঁড়া। এ সময় কবরের মাটি সরিয়ে দেখতে পান, সেখানে কোনো কঙ্কাল নেই।
এর আগে ২জানুয়ারি মধ্যরাতে একই ইউনিয়নের হালগড়া স্কুল সংলগ্ন ফটিয়ামারী সার্বজনীন কবরস্থান থেকে ১১টি কঙ্কাল চুরি হয়েছিল।
স্থানীয় মুসুল্লী লাল মিয়া ও ফকির আলীর ধারণা, শেরপুর সদরে এই কাজটি একটি চক্রই করছে। তাই এই চোরচক্রকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তারা।
স্থানীয়রা জানান, শেরপুরে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে কঙ্কাল চুরির ঘটনা। এক মাসের ব্যবধানে শুধু শেরপুর সদরেই ২৫টি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে উদ্বীগ্ন সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ। প্রিয়জনের মৃত্যুর পর কঙ্কাল চুরির এসব ঘটনায় ভয় ও আতঙ্ক কাজ করছে সবার মাঝে।
স্থানীয় কলেজ শিক্ষক মহিউদ্দিন সোহেল বলেন, ‘শেরপুরে প্রতিনিয়তই এই কঙ্কাল চুরির ঘটনা বেড়ে চলছে। স্থানীয়দের মধ্যে এ ঘটনায় আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাকি কবরগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন স্বজনরা।’
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনছুর আহম্মেদ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’