মোহালি টেস্টে প্রথম দিন শেষে আধিপত্য ভারতের। সফরকারী শ্রীলঙ্কা দিন শেষে ৬ উইকেট তুলে নিলেও স্কোরবোর্ডের রান দেখে তারা অস্বস্তিতে। ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত স্কোরবোর্ডে ৩৫৭ রান জমা করেছে। ক্রিজে আছেন রবিন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশি^ন। তাদের রান যথাক্রমে ৪৫ ও ১০।
বিরাট কোহলির শততম টেস্টে ভারত টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের সিদ্ধান্ত যে অমূলক ছিল না ব্যাটাররা তা ভালোভাবেই প্রমাণ করেছে। কোনো ব্যাটারই সেঞ্চুরি পায়নি, তা সত্ত্বেও ভারতের স্কোরবোর্ড যথেষ্ট সমৃদ্ধ হয়েছে।
শততম টেস্টে শতরান। দারুণ এক কৃতিত্বের বিষয়। এমন কৃতিত্ব বিরাট কোহলি অর্জন করতে পারবেন কিনা তা ছিল বিশাল এক প্রশ্ন। সে প্রশ্নের উত্তর এখন সবার জানা। পারেননি কোহলি। এমন কি হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার বোলাররা তাকে হাফ সেঞ্চুরি করতে দেয়নি। ৪৫ রানে আউট হয়েছেন তিনি।
কোহলি যেমন হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি তেমনি হনুমান্ত বিহারিকে তার হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে পূর্ণ করতে দেননি লঙ্কার বোলাররা। তাদের দুজনকে আউট করে যে উচ্ছ্বাস তারা করেছিলেন তা মিলিয়ে দেন ঋষভ পন্ত।
ঋষভ পন্ত এতটাই বেপোরোয়া ব্যাটিং করেছেন যে, আগের দুটো উইকেট শিকারের জন্য শ্রীলঙ্কার বোলাররা হতাশা ব্যক্ত করতে পারেন। কোহলি ও হনুমান্ত বিহারিকে আউট না করলে হয়তো এমন ব্যাটিং তাণ্ডব তাদের দেখতে হতো না। একটা পর্যায়ে পন্ত তাদের ওপর ব্যাটিং তাণ্ডব করেছে।
তবে পন্তের দুর্ভাগ্য যে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা তৈরি করেও তাকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেনি। ৯৬ রানে আউট হয়েছে। মূলত হাফ সেঞ্চুরির পরই পন্ত ব্যাটিং তাণ্ডব করেছে। পন্ত ৯৭ বলে করেছে ৯৬। পন্ত হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন ৭৩ বলে। পরে ৪৬ রান করতে মাত্র ১৯টি বল মোকাবিলা করেছেন।
ভারতের সব ব্যাটার স্কোরবোর্ডে ভালো অবদান রেখেছেন। হাফ সেঞ্চুরির সংখ্যা দুটি, যা এসেছে ঋষভ পন্ত ও হুনমান বিহারির ব্যাট থেকে। আর দুটি রয়েছে ৪৫ রানের ইনিংস। যার একটা এসেছে কোহলির ব্যাট থেকে। অন্যটা রবিন্দ্র জাদেজা করেছেন। ক্রিজে নামা সব ব্যাটারই দুই অঙ্কের রানের দেখা পেয়েছেন। দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল ৩৩ রান করেছেন। আর নতুন টেস্ট অধিনায়ক রোহিত শর্মা ২৯ রান করেছেন।
শ্রীলঙ্কার সফল বোলার ছিলেন লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। ১০৭ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন তিনি।