দুর্বল দল সালেরনিতানাকে উড়িয়ে দিয়ে সিরি ‘এ’তে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে ইন্টার মিলান। শুক্রবার রাতে নিজেদের মাঠের খেলায় শিরোপা প্রত্যাশী দলটি গোল উৎসব করেছে। ৫-০ গোলে জয় পেয়েছে। গোল উৎসবে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাউতারো মার্টিনেজ গোল খরা কাটিয়েছেন। হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। অন্য গোলদুটো করেছেন এডিন ডেকো।
জয়ের ফলে সিমন ইনজাঘির দল দ্বিতীয় স্থানে থাকা নাপোলি থেকে এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষ অবস্থান নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে নাপোলির সমান পয়েন্ট পেলেও গোল পার্থক্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এসি মিলান। আর সালেরনিতানা ১৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে।
সালেরনিতানাকে হারিয়ে ইন্টার মিলান একটা কীর্তিও গড়েছে। গত ডিসেম্বরেও এ দলটির বিপক্ষে ইন্টার মিলান একই ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। ৬৩ বছরে সিরি ‘এ’তে এই প্রথম কোনো দল কোনো দলের বিপক্ষে ১০ গোল করে কোনো গোল হজম না করার কীর্তি গড়েছে।
বড় জয় পেলেও প্রথম গোলের জন্য ইন্টার মিলানকে ২২ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। নিকোলাস বারেলা প্রতিপক্ষের ডিফেন্সচেরা যে পাসটি দিয়েছিলেন তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কোনোকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাভূত করেন মার্টিনেজ। গত ১০ ম্যাচে এটা তার প্রথম গোল। এ গোলের মাধ্যমে মার্টিনেজ কোচের আস্থার জবাব দেন। দীর্ঘ গোলক্ষরার পর এ গোলেই যেনো গোলের পথটা আবার চিনে নেন মার্টিনেজ। তাইতো বিরতির আগে আবারো গোল পান তিনি। ইন্টার মিলান দুই গোলে এগিয়ে যায়।
বিরতির পরও গোলের পথটা ভোলেননি এ আর্জেন্টাইন। এ সময় আরো এক গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। প্রথম গোলের পরই মার্টিনেজ ছুটে গিয়েছিলেন কোচের কাছে। সেখানে তারা আলিঙ্গন করেন। ম্যাচ শেষে আলিঙ্গনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা ছিল বিশ্বাসের প্রতিদান। তিনি সবসময় আমার পাশে ছিলেন। তিনি মাঠে ছিলেন না, কিন্তু মাঠের বাইরে থেকে আমাদের সঙ্গে লড়াই করেছেন।
মার্টিনেজ আরো বলেন, কঠিন মুহুর্তের অভিজ্ঞতা আমার আছে। কেননা একজন স্ট্রাইকারকে গোল করে বেঁচে থাকতে হয়। এ ম্যাচে ভাগ্য আমার সঙ্গে ছিল। আমি তিন গোল করেছি। আমি গোলের প্রচণ্ড ইচ্ছা নিয়েই খেলা শুরু করেছিলাম। আমাদের জন্য এ ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সে সঙ্গে ইন্টার মিলানের জন্য সময়টাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
এডিন ডেকো ৬৪ মিনিটে প্রথম গোল পান। পাঁচ মিনিট ব্যবধানে দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। কিন্তু এর আগে একাধিক সুযোগ পেয়েও সেগুলোকে গোলে রূপ নিতে পারেননি।