logo
আপডেট : ৫ মার্চ, ২০২২ ১৩:২৯
বাসে অনিরাপদ নারী, বেশি হন স্পর্শের শিকার
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাসে অনিরাপদ নারী, বেশি হন স্পর্শের শিকার

ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা

# ৬৪.৯২ শতাংশ তরুণী গনপরিবহণে আপত্তিকর স্পর্শের শিকার # যৌন হয়রানির শিকার ৬৫.৫৮ শতাংশ তরুণী # কুরুচিপূর্ণ মেসেজ ও মন্তব্যে বিব্রতকর পরিস্তিতিতে পড়েন ৬১.১২ শতাংশ তরুণী # শৈশবের যৌন নির্যাতন সর্বদাই মানসিক বিপর্যস্ততায় ভোগায়। # মানসিক সমস্যার পিছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী পারিবারিক টানাপোড়েন # বডি শেমিং করায় এগিয়ে আত্মীয়রা। 

নারীরা বেশি অনিরাপদ বাসে। ৬৪ দশমিক ৯২ শতাংশ তরুণী গণপরিবহণে আপত্তিকর স্পর্শের শিকার হন। ২০ দশমিক ৪ শতাংশ শিকার হন কু-দৃষ্টি এবং অনুসরণের। শুধু বাইরে নয়; ঘরেও শৈশবে যৌন নিগ্রহের শিকার বহু তরুণী।

শৈশবে আত্মীয়-স্বজন, অপরিচিত ব্যক্তি, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে এমন হীন আচরণে সকলের প্রতি অবিশ্বাসের জন্ম হয়। সৃষ্টি হয় পুরুষ বিদ্বেষী মনোভাবের। অনেকেই পরবর্তীতে বিয়ে করতে বা

শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে ভয় পান। শৈশবের যৌন নির্যাতনের কারণে একজন নারীকে সারা জীবন ট্রমার ভিতর দিয়ে যেতে হয়। এর ফলে নারীরা সর্বদাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ততায় ভুগেন।

গনপরিহণে, কর্মক্ষেত্রে, প্রতিবেশি বা পারিবারিক আত্মীয় স্বজনই নয়; অনলাইনেও কুরুচিপূর্ণ মেসেজ ও মন্তব্যে বিব্রতকর পরিস্তিতিতে পড়েন ৬১ দশমিক ১২ শতাংশ তরুণী।

এমন তথ্যই উঠে এসেছে আঁচল ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষায়। আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে আঁচল ফাউন্ডেশন শুধু নারীদের নিয়ে এ সমীক্ষায় চালায়।

শনিবার (৫মার্চ) সকালে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে ‘তরুণীদের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং মানসিক স্বাস্থ্যে এর প্রভাব’-শীর্ষক এ সমীক্ষার ফল প্রকাশ করে। ফলাফল উপস্থাপন করেন আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ।

তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগে এক হাজার ১৪ জন শিক্ষিত তরুণী এই জরিপে অংশ নেন। যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তারা কতটা বৈষম্য, লাঞ্ছনা, যৌন হয়রানি, সমাজ ও

পরিবারে প্রতিবন্ধকতা, নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি বিষয়ের সম্মুখীন হয়েছেন এবং এসব বিষয় তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কেমন প্রভাব ফেলেছে, তা নিয়ে সমন্বয়কৃত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণালব্ধ পরিসংখ্যান সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়।

জরিপে অংশগ্রহণকারী তরুণীদের ভেতর অবিবাহিত ৮৮দশমিক ১৭ শতাংশ ও বিবাহিত ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং বাকীরা আর সংসার করছেন না।

যৌন হয়রানির শিকার ৬৫.৫৮ শতাংশ তরুণী:
সমীক্ষার তথ্যের ভিত্তিতে, ৬৫.৫৮ শতাংশ তরুণী যৌন নিপীড়ণের শিকার হয়েছেন। এর মাঝে ৩৫.৪৯ শতাংশ তরুণী জানিয়েছেন যে তারা বিকৃত যৌন ইচ্ছার প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত বা কুদৃষ্টির মাধ্যমে নিগ্রহের

শিকার হয়েছেন। ২৯.৬২ শতাংশ তরুণীকে আপত্তিকর স্পর্শের ভুক্তভোগী হতে হয়েছে। আর বিভিন্ন জায়গায় ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছেন ২২.২৬ শতাংশ।

নারীরা বাসে বেশি অনিরাপদ:
আমাদের দেশের শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র ও বিভিন্ন প্রয়োজনে নারীরা গণপরিবহন ব্যবহার করে থাকেন। সমীক্ষা বলছে, ৪৫.২৭ শতাংশ তরুণী গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার হন। গণপরিবহন হিসেবে

সর্বাধিক ব্যবহৃত বাস বা বাসস্ট্যান্ডে যৌন হয়রানির মতো অভিজ্ঞতার সন্মুখীন হন ৮৪.১০ শতাংশ তরুণী। এ ছাড়াও রেল বা রেল স্টেশনে ৪.৫৮ শতাংশ এবং রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে ১.৫৩ শতাংশ তরুণী যৌন হয়রানির শিকার হন।

বাইরে আপত্তিকর স্পর্শের শিকার বেশি হন:

গণপরিবহণে যৌন হয়রানির মধ্যে আপত্তিকর স্পর্শের শিকার হন ৬৪.৯২ শতাংশ তরুণী। ২০.০৪ শতাংশ কুদৃষ্টি এবং অনুসরণের শিকার হয়েছেন বলে জানা যায়। জরিপের তথ্য অনুযায়ী আরো জানা

যায়, তরুণীরা সবচেয়ে বেশি এ ধরণের নিপীড়নের শিকার হন একাকী চলার সময়ে যা ৭৫.৬০ শতাংশ। তবে ২১.৫৭ শতাংশ মা, বোন, বান্ধবী বা অন্য নারী সঙ্গি থাকা অবস্থায় এবং ২.৮৩ শতাংশ বাবা,

স্বামী, ভাই বা অন্য পুরুষ সঙ্গি থাকা অবস্থায় নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলে সমীক্ষায় উঠে আসে। লক্ষণীয় যে অনেক ক্ষেত্রেই পরিবারের কেউ সঙ্গে থাকার পরও নারীদেরকে অযাচিত হয়রানির মুখোমুখী হতে হয়।

শৈশবেও রেহাই পায়নি নারী:
সমন্বয়কৃত তথ্যানুসারে, ৩৮.৮৬ শতাংশ তরুণী শৈশবে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন। তার মধ্যে আত্মীয়-স্বজনের দ্বারা ৩৫.২৮ শতাংশ যৌন নিগ্রহমূলক আচরণের শিকার হন। শৈশবে অপরিচিত

ব্যক্তিবর্গের দ্বারা ভুক্তভুগী হন ২৮.১৭ শতাংশ। এ ছাড়াও ১৬.৫০ শতাংশ প্রতিবেশীদের কাছ থেকে এমন হীন আচরণের শিকার হন। শৈশবের এরূপ ঘটনা ২৮.৪৩ শতাংশের মনে সকলের প্রতি

অবিশ্বাসের জন্ম দেয় এবং ২৮.১৭ শতাংশের ভেতর পুরুষ বিদ্বেষী মনোভাবের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া ১৫.৭৪ শতাংশ একা থাকতে ভয় পান। এ ছাড়া অনেকেই পরবর্তীতে বিয়ে করতে বা শারীরিক সম্পর্কে

জড়াতে ভয় পান বলে জানিয়েছেন। শৈশবের যৌন নির্যাতনের কারণে একজন নারীকে সারা জীবন ট্রমার ভিতর দিয়ে যেতে হয়। এর ফলে নারীরা সর্বদাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ততায় ভোগেন।

সংবেদনশীল ছবি নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়:
সংগ্রহকৃত তথ্য ও উপাত্ত এর ভিত্তিতে দেখা যায়, ৪৩.৮৯ শতাংশ তরুণী অনলাইনে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে অবান্তর ও কুরুচিপূর্ণ মেসেজ পাঠিয়ে এবং মন্তব্য করে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে

ফেলা হয়েছে ৬১.১২ শতাংশকে। সামাজিক যোগযোগমাধ্যমের আইডি হ্যাকিং-এর শিকার হয়েছেন ১০.৩৪ শতাংশ। ৯.৮৯ শতাংশ ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল ছবি নিয়ে দূর্ভোগ পোহান বলে জানিয়েছেন। এ

ছাড়াও অযাচিত আইডি স্টকিং-এর শিকার হন ৫.১৭ শতাংশ।

মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও আত্মহত্যা ঝুঁকি শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে আঁচল ফাউন্ডেশন ২০১৯ সালের ২৫ শে এপ্রিল যাত্রা শুরু করে। তরুণ প্রজন্ম দ্বারা পরিচালিত মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায়

প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এই সংগঠনটির একটি অন্যতম কার্যক্রম হলো মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জরিপ পরিচালনা করা। মানসিক সমস্যার পিছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী পারিবারিক টানাপোড়েন

তানসেন রোজ বলেন, সমীক্ষার ফলাফল থেকে প্রথমেই জানা যায় যে, পারিবারিক টানাপোড়েন তরুণীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সর্বাধিক প্রভাব ফেলে যা ৩১.৮৫ শতাংশ। আর্থিক অস্বচ্ছলতা

অংশগ্রহণকারীদের ২৪.৪৬ শতাংশের মনে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। বেকারত্বের কারণে ১৪.৭৯ শতাংশ মানসিকভাবে বিপর্যস্ততার শিকার হন। ১৪.৪০ শতাংশ সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার

মাধ্যমে ও ২.৩৭ শতাংশ তরুণী যৌন নিপীড়ণের কারণে মানসিকভাবে প্রভাবিত হন।

পারিবারিক টানাপোড়েনের পিছনের কারণ খুঁজতে গিয়ে আমরা দেখতে পাই, পারিবারিক আর্থিক অস্বচ্ছলতা ৩০.৭২ শতাংশ তরুণীদের মনে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বাবা মা বা স্বামী

স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া ২৭.৩২ শতাংশের মনে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। সেই সঙ্গে পরিবার থেকে অযাচিত চাপের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ততার শিকার হয়েছেন ২৩.৯২ শতাংশ নারী।

বাড়ছে বিয়ের জন্য অযাচিত চাপ:

জরিপে অংশগ্রহণকারী তরুণীদের মধ্য থেকে ২৩.৭৭ শতাংশ তরুণী নিজেদের অসম্মতি থাকা সত্ত্বেও পরিবার থেকে বিয়ের চাপের সম্মুখীন হন। যারা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তাদের মধ্যে ১০৯

জনের পরিবার পরবর্তীতে বিয়ে না হওয়ার ভয় থেকে এমন চাপের সৃষ্টি করেন বলে জানা যায়। কমবয়সী মেয়েদের ভালো বর হয় এরূপ ধারণার কারণে ৮৬ জনের ওপর পারিবারিকভাবে বিয়ের চাপ

আসে। করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষাবর্ষ দীর্ঘায়িত হওয়ায় ৮৫ জনকে বিয়ের চাপ মোকাবেলা করতে হয়েছে। লক্ষণীয় বিষয় যে, একবিংশ শতাব্দীতে এসেও ধারণা প্রসূত কারণে নারীদের ওপর কর্তৃত্ব আরোপের চেষ্টা করা হচ্ছে।

বডি শেমিং করায় এগিয়ে আত্মীয়রা
পরিসংখ্যানের তথ্য ও উপাত্ত অনুযায়ী, ৬৯.৯২ শতাংশ তরুণী শারীরিক অবয়ব নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে, ৩৭.২৪ শতাংশ তরুণী জানিয়েছেন তাদের শরীরের আকৃতি,

গঠন এবং অবয়ব নিয়ে তাদের আত্মীয়রাই কথায় ও ইঙ্গিতে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। বন্ধুবান্ধবের কাছে বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছেন ২২ শতাংশ। এমনকি পরিবার থেকে এ ধরণের মন্তব্য শুনেছেন বলে

জানিয়েছেন ১৪.২৫ শতাংশ। পথচারীর মাধ্যমে শারীরিক অবয়ব নিয়ে নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে ১১.৮৫ শতাংশ তরুণীর। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিনিয়ত হেয় প্রতিপন্ন হলে একজন মানুষের

আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং হীনমন্যতা কাজ করে। পরবর্তীতে যেটা আত্মহত্যার পিছনে অনুঘটক হিসেবে ভূমিকা রাখে।

কারণ খুঁজতে গিয়ে আঁচল ফাউন্ডেশনের গবেষণায় এসেছে, ওজনের কারণে নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার হতে হয় বলে ৩৯.৪৯ শতাংশ তরুণী মনে করেন। গায়ের রঙের কারণেও ৩৬.৯৫ শতাংশ তরুণী

এ ধরণের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যান। এ ছাড়াও উচ্চতা, মুখাবয়বের গঠন ও দাগ, কণ্ঠস্বর প্রভৃতি বিষয় নিয়ে তরুণীরা বিরূপ মন্তব্য শুনে থাকেন বলে জানিয়েছেন।


মতামত মূল্যহীন পরিবারেও:
একজন তরুণী পরিবার ও সমাজে পুরুষের মতোই সমান গুরুত্ব পাওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু ২২.২৯ শতাংশ তরুণী জানিয়েছেন তাদের মতামতকে পরিবারে মূল্যায়ণ করা হয় না। শুধু নারী হবার দরুণ

মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হয় ৪৬.২৫ শতাংশকে। সমীক্ষা বলছে, নারীদের প্রতি প্রথম বাধা আসে পরিবার থেকেই। এজন্য পরিবারকেই অগ্রগামী ভুমিকা পালন করতে হবে নারীদের ন্যায্য অধিকার প্রদানের ক্ষেত্রে।

 আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রস্তাবনা:
১. তরুণীদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিতে কর্মসংস্থান তৈরির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ২. নারীর বিচরণক্ষেত্রে তার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্ব স্ব বিচরণক্ষেত্রগুলোকে আইনী বাধ্যবাধকতার

আওতায় নিয়ে আসা। ৩. গণপরিবহন (বাস, রেল, রাইড শেয়ারিং) ও তার স্টপেজগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন। ৪. ইভটিজিং ও যৌন হেনস্তার মতো ঘটনাগুলো তাৎক্ষণিক সমাধান পেতে আইনশৃঙ্খলা

বাহিনীর তৎপর ভূমিকা রাখা। ৫. শৈশবকালীন যৌন হেনস্তা, বডি শেমিং থেকে রক্ষা করতে পরিবারগুলোকে সরকারি বেসরকারী উদ্যোগে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেয়া। ৬. নারীর প্রতি বিভিন্ন

নেতিবাচক ধারণা ও কুসংস্কার দূর করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা জোরদার করা। ৭. নারীর সুরক্ষায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ওপর মনিটরিং জোরদার করা। ৮. সকল যানবাহনকে ট্র্যাকিং এর

আওতায় আনা যেনো যেকোন সময়ে যাত্রী তার অবস্থান অন্যদের জানানোর মাধ্যমে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। ৯. সকল নারী শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আত্মরক্ষামূলক ট্রেনিং প্রদান করা।

ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহীন মোল্লা, সিটি

সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সুরঞ্জনা সাহা, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, মিডিয়া কম্যুনিকেশনের সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর শাহানা হুদা রঞ্জনা।