logo
আপডেট : ৫ মার্চ, ২০২২ ১৬:২০
অপরূপ সাজে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

অপরূপ সাজে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা নতুন সাজে সজ্জিত হয়েছে

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা এখন নতুন সাজে সজ্জিত হয়েছে। চিড়িয়াখানাটি এক সময় ছিল বিবর্ণ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে কৃত্রিম সৌন্দর্যের মেলবন্ধন ঘটিয়ে পাশেই গড়ে ওঠা থিম পার্ক ফয়’স লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ড এর কাছে অনেকটাই ম্লান হয়ে পড়েছিল চিড়িয়াখানাটি। এর মধ্যে ছিল পশুপাখির সংকট। খালি পড়ে ছিল অনেক খাঁচা।

মানুষের দানের টাকায় কোনো রকমে চলত চিড়িয়াখানা। সে সময় দানে পাওয়া পশুপাখিই ছিল সম্বল। চিড়িয়াখানাটিতে ছিল না সৌন্দর্যের ছোঁয়া। অনেকটা অযত্ন-অবহেলায় চলছিল চিড়িয়াখানাটি। তাই দর্শনার্থীদের কাছেও ছিল না আলাদা আকর্ষণ।

দীর্ঘদিনের অবহেলিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা এখন নতুন সাজে সজ্জিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে কৃত্রিম সৌন্দর্যের সমন্বয়ে অপরূপ সাজে সেজেছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা।লাল, নীল, হলুদ ও সবুজসহ নানা রঙে রঙিন হয়ে পুরোই বদলে গেছে এই চিড়িয়াখানার চেহারা। বদলে যাওয়া চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো রংধনু রঙে সজ্জিত আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথের সুউচ্চ ও সুবিশাল সিঁড়ি।

নানা রঙে রঙিন এই সিঁড়ির পাশের দেয়ালে শিল্পীর আঁকা শিশুদের প্রিয় সব বন্যপ্রাণীর ছবি শোভা পাচ্ছে। নতুন করে আরো পাঁচ একর জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন সিঁড়িটি।

এই চিড়িয়াখানায় এক সময় বাঘের খাঁচায় বাঘ ছিল না, অনেকগুলো খাঁচা শূণ্য পড়েছিল। অনেক পশুপাখিও ছিল না। এখন এই চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহ, জেব্রা, সাপ, হরিণ, বানর, ভাল্লুক, উল্লুক, কুমির, শিয়াল, খরগোশ, ময়ূর, গয়াল, ঘোড়া ও নানাধরণের পাখিসহ ৬৬ প্রজাতির ৬৩০টি দেশি-বিদেশি পশুপাখি রয়েছে। আরো আছে প্রাকৃতিক পক্ষীশালা। চিড়িয়াখানার সেই শূন্য খাঁচা এখন আর দেখা যায় না। প্রতিটি খাঁচা এখন পশু-পাখিতে পরিপূর্ণ।

চট্টগ্রামের কুমিরা এলাকা থেকে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে আসা আব্দুল মোমেন বলেন, আগে খুবই অবহেলিত ছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। অনেক খাঁচাই ফাঁকা ছিল। পশুপাখির সংখ্যা কম ছিল। তাই দর্শনার্থীদের কাছে তেমন একটা আকর্ষণীয় ছিল না। কিন্তু এখন আগের চেয়ে খুব সুন্দর হয়েছে চিড়িয়াখানাটি।

বদলে যাওয়া চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বেড়েছে দর্শনার্থীর ভিড়।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়,প্রতিদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দুই থেকে তিন হাজার দর্শনার্থী হয় এখানে। ছুটির দিন বেশি ভিড় থাকে। চিড়িয়াখানায় ছুটির দিন সাত হাজার থেকে ১০ হাজার দর্শনার্থীও আসে। ঈদের সময় আরো বেশি দর্শনার্থী আসে এই চিড়িয়াখানায়। ঈদের সময় একদিনেই ১৬ হাজার দর্শনার্থীও এখানে বেড়াতে এসেছেন।