শেষ পর্যন্ত ১২০ বল খেলে আফগানিস্তানকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১১৬ রানের টার্গেট দিতে পারলো বাংলাদেশ। ভালো একটা শুরুর আশা ছিল সবসময়। কিন্তু, কখনোই থিতু হতে পারলো না টাইগার ব্যাটাররা। তাই স্বল্প পুঁজিতেই এখন লড়াই করতে হবে প্রাণপণে।
বাংলাদেশের ৯ উইকেটে ১১৫ রান মূলত ব্যাটারদের ব্যর্থতারই কাহিনি। পুরো ইনিংসে কেবল অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও কিপার মুশফিক ১০ থেকে ১৫ ওভারে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু, তাদের আউটে সব আশা মুছে যায়।
শুরুতে পর পর চারটি উইকেট হারিয়ে ঘরের মাটিতে ভীষণ চাপে পড়ে যায় টাইগাররা। সেখান থেকে টেনে তুলছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ মুশফিককে সঙ্গী করে। কিন্তু, দলীয় ৮৮ রানে রশিদ খানের শিকার হলেন অধিনায়ক। সঙ্গে দারুণ খেলতে থাকা মুশফিকও হুট করে আউট। বাংলাদেশি সমর্থকরা যখন ১০০ রান হওয়ার প্রহর গুণছিল তখনই বিদায় মুশফিকের। মুশফিকের পর হতাশ করেছেন মাহাদিও। দাঁড়াতে পারেননি আফিফও।
এর আগে মাহমুদউল্লাহ রাশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ। নিশ্চিত হওয়ায় রিভিউও নেননি, করেছেন ২১ রান। অপর প্রান্তে মুশফিক সাবলীল। কিন্তু খেই হারালেন ১৭তম ওভারে। করেছেন মোটে ৩০ রান। তাকে তুলে নিলেন আফগান পেসার ফজলে হক ফারুকি। মুশফিকের জায়গায় নেমে ওই ফারুকিরই শিকার হলেন মাহাদি। বোল্ড আউট। এই ওভারে দলীয় ১০০ রান পূর্ণ, হলেও এক ওভারেই নেই দুই উইকেট।
এর আগে ২য় টি টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে নামলেও শুরু থেকেই চাপে পড়ে টাইগার ব্যাটাররা।
উচ্চাভিলাসী শট আর জোরে মেরে খেলতে না পারার অক্ষমতার কারণেই একে একে উইকেটগুলো হারায় বাংলাদেশ।
খেলার দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন গত ম্যাচের ডেব্যুট্যান্ট মুনিম শাহরিয়ার। মোহাম্মদ নবীকে খেলতে গিয়ে মিড অফে শারাফুদ্দিন আশরাফের হাতে ধরা পড়েন মুনিম। এর আগে মাত্র চার রান যোগ হয় তার নামের পাশে।
আর দারুণ শুরু করা লিটন পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই আজমতউল্লাহর বল উড়িয়ে খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন সেই শারাফুদ্দিন আশরাফের হাতেই। তার সংগ্রহ মোটে ১৩।
আর নবম ওভারের শুরুতেই রশিদ খানের বলে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম। তার সংগ্রহ মাত্র ১৩।
এই চাপ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই সাকিব আল হাসানকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে দেন আজমতুল্লাহ। আজমতুল্লাহর বলটি ঠিকভাবে কাট করতে না পারায় উইকেটের পেছনে সেটি গ্লাভসবন্দি করতে কোনো কষ্টই হয়নি কিপার রহমতুল্লাহ গুরবাজের।
এর আগে প্রথম টি টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে হেসে খেলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।