logo
আপডেট : ৫ মার্চ, ২০২২ ২০:৫৯
সাধারণ সভায় ফ্ল্যাট ক্রেতাদের ক্ষোভ 
সমস্যায় জর্জরিত প্রীতম জামান টাওয়ার, দুর্ঘটনার শঙ্কা
নিজস্ব প্রতিবেদক

সমস্যায় জর্জরিত প্রীতম জামান টাওয়ার, দুর্ঘটনার শঙ্কা

প্রীতম জামান টাওয়ারের বার্ষিক সাধারণ সভায় অতিথিরা।

নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত রাজধানীর পুরানা পল্টনের প্রীতম জামান টাওয়ার। ৩৭/২, পুরানা পল্টনের (বক্স কালভার্ট রোড) এ সুউচ্চ ১৬ তলা ভবনে নেই কোনো অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা। ফলে যে কোনো মুহূর্তেই ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এখানে নকশাবহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে দোকান ও দেয়াল। বেজমেন্টে সবসময় জমে থাকে পানি। ভবন মালিকের কাছে এসব বিষয়ে বারবার অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি ফ্ল্যাট মালিকরা।

ভবনে ফ্ল্যাট ক্রেতাদের সংগঠন ‘জামান টাওয়ার স্পেস ওনার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি.’-এর এক বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব অব্যবস্থাপনার তথ্য তুলে ধরা হয়।

শনিবার দুপুরে সংগঠনের সভাপতি মো. মমিন উল্লাহ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় এসব অভিযোগ করেন ভবনটির ফ্ল্যাট মালিকরা।

সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আব্দুস সবুর খান, সহ-সভাপতি ড. বি এন দুলাল, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট এম মিজানুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক লায়ন মো. ফকরুল ইসলাম, বেঙ্গল প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান মো. জাহের উদ্দীন সরকার, সদস্য মো. খালেদ রহিম, মো. নুরুল হক, অ্যাডভোকেট মো. শামীম খালেদ, মো. আমির হোসেন পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট মো. আকিদুল ইসলাম খন্দকার, অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবিরসহ সংগঠনের নেতারা।

ভবনের সব সমস্যা সমাধানের জন্য সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান সমিতি নেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভবনের প্রতিটি ফ্লোর ১৮ হাজার স্কয়ার ফুট বিশিষ্ট। ১০০ জনের বেশি ব্যক্তি এ ভবনে জায়গা কিনেছেন।

মো. মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী বলেন, ‘এ ভবনে অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি, যা ডেভেলপার কর্তৃক ভবন নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে স্থাপন করার কথা ছিল। বিল্ডিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ডেভেলপার পলাতক এবং অপরজনকে এ বিষয়ে বলা হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এমনকি কোনো কোনো ফ্লোরের মধ্যবর্তী পথ দেয়াল নির্মাণ করে বন্ধ করা হয়েছে, যা নকশাবহির্ভূত।’

তিনি দাবি করেন, ‘অনেক ফ্লোরে জরুরি বহির্গমনের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি নকশাবহির্ভূতভাবে কিছু দোকান তৈরি করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা রাজউকের সঙ্গে পত্রালাপ ও যোগাযোগ করেছি।’

অ্যাডভোকেট মো. আব্দুস সবুর খান বলেন, ‘ভবনের তৃতীয় বেইজমেন্টে সবসময় পানি জমে থাকে। যার জন্য ভবনের ভিত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বেইজমেন্টে যারা পার্কিংয়ের স্থান কিনেছেন, তাদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেইজমেন্টটির মেরামত করার জন্য ডেভেলপারকে বারবার বলা হলেও কর্ণপাত করা হচ্ছে না। ভবনের পূর্ব ও পশ্চিম দিকের লিফটগুলো ভারী মালামাল বহন ও অতিরিক্ত চলাচলের জন্য বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেইজমেন্ট-৩ এ পানি থাকার কারণে লিফটের চেইনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এজন্য লিফটের চেইন প্রতিস্থাপন করতে হবে।’