নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে ১২শ মিটার সড়ক এলাকাবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং উপজেলা প্রকৌশল অফিসের ভুল বোঝাবুঝির কারণে সড়কের কাজ বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে পথচারীসহ হাজারো মানুষ।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের আতারুলের বাড়ি থেকে বকুলের বাড়ি পর্যন্ত ১২০০ মিটার সড়ক নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়।
দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রুবি এন্টারপ্রাইজ। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর সড়কটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল।
গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য সড়কটির নির্মাণকাজের উদ্বোধনের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের নির্মাণকাজ শুরু করেন। সড়কটির বেড কাটিং করার পর বালু ফেলেই ঠিকাদার সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন।
আহেলার বাজারের বাসিন্দা রেয়াজুল ইসলাম জানান, সড়কটি খুঁড়ে রাখায় ওই সড়ক দিয়ে চলাচলে গ্রামবাসী প্রতিনিয়ম দুর্ভোগে পড়েছে। তার ওপর গত শুক্রবার হঠাৎ করে শিলাবৃষ্টিতে সড়কটিতে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে থাকায় দুর্ভোগ চরমে ওঠেছে।
জানতে চাইলে ঠিকাদার মাহবুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কটির বেড কাটিং করার পর সড়কে বালু ফেলে তা মজবুতিকরণ করা হয়েছে। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান সড়কটির মজবুতিকরণ সঠিক হয়নি মর্মে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রকৌশলী কাজ শুরু করতে বললে কয়েকদিনের মধ্যে সড়কটির কাজ শেষ হয়ে যেত।’
উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ করতে লিখিতভাবে কিছু বলা হয়নি। ঠিকাদার নিজ স্বার্থে কাজ বন্ধ রেখেছে।’
সড়কের মজবুতিকরণে কোনো গাফিলতি হয়েছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘সড়ক নির্মাণকাজ পরিদর্শন করে যদি কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হয় তাহলে অবশ্যই লিখিকভাবে কাজ বন্ধের নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।