logo
আপডেট : ৬ মার্চ, ২০২২ ২১:৩৩
মিতুর বাবার করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করল আদালত
চট্টগ্রাম ব্যুরো

মিতুর বাবার করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করল আদালত

বাবুল আক্তার ও মাহমুদা খানম মিতু

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু খুনের ঘটনায় মিতুর বাবার করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছে আদালত। একই সঙ্গে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেনের নারাজি আবেদন খারিজ করে
দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন শুধু মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের করা মামলাটিই চলবে।

রোববার (০৬ মার্চ) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিমের আদালত এই আদেশ দেয়।

চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক জানান, চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় দ্বিতীয় মামলার
সাক্ষ্যপ্রমাণ ও তদন্ত কার্যক্রম প্রথম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার যে আবেদন করা হয়েছিল, আদালত সেটিও মঞ্জুর করেছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিতুকে। সে সময় তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) থেকে বদলি হয়ে ঢাকা সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।

স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম এসে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তিনি। এক পর্যায়ে মিতু হত্যার সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা খুঁজে পায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর নানা নাটকীয় ঘটনার পর পুলিশের চাকরি ছাড়তে হয় বাবুল আক্তারকে।

এদিকে, মিতু খুনের পাঁচ বছর পর তদন্ত করে স্বামী বাবুলকেই স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই।

গত বছরের ১২মে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন বাবুল আক্তারকে আসামি করে মিতু হত্যার দ্বিতীয় মামলাটি করেন। ওই দিনই মিতু হত্যার প্রথম মামলার বাদি থেকে আসামি বনে যান স্বামী বাবুল আক্তার। তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পিবিআই।

তারপর বাবুলের দায়ের করা মামলার ফাইনাল রির্পোট আদালতে জমা দেয় পিবিআই। গ্রেপ্তারের পর থেকে স্ত্রী হত্যার আসামি হয়ে বাবুল আক্তার ২০২১ সালের ১৩মে থেকে কারাগারে রয়েছেন। গত বছরের ২৯ মে থেকে বাবুল
আক্তার ফেনী কারাগারে রয়েছেন।

তবে মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তার যে মামলাটি দায়ের করেছিলেন, সেটির তদন্ত শেষ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পিবিআই। কিন্তু আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন না নিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
দেয়। মিতুর বাবার করা মামলাটিও তদন্ত করেছিল পিবিআই।

এতদিন বাবুলের ও মিতুর বাবার দুই মামলা এক সাথে তদন্ত করছিলেন পিবিআই’র পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।