logo
আপডেট : ৬ মার্চ, ২০২২ ২১:৩৪
ছবিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের ১১তম দিন

ছবিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের ১১তম দিন

ইউক্রেনের রাশিয়া আক্রমণের ১১তম দিনে রোববার (৬ মার্চ ) মূলত প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে নিকটবর্তী এলাকায় মানুষদের ছুটে যেতে দেখা গেছে। একদিন আগে রাশিয়া তাদের দখল করা দুটি শহরে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার অনুমতি দিলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সে প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসে। তবে সুযোগ পেয়ে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য নাগরিকদের চেষ্টা আজও অব্যাহত ছিল। পরিস্থিতি এমন যে প্রত্যেকে নিজের ও পরিবারের প্রাণ বাঁচাতেই ব্যস্ত। সাহায্যপ্রার্থী অন্যদের সহায়তা করারও সময় নেই তাদের।

এদিন যুদ্ধ বিধ্বস্ত শহরগুলোর রাস্তায় রাস্তায় মৃত শিশু নিয়ে পিতামাতাদের শোক প্রকাশ করেতে দেখা গেছে।

বন্দর শহর মারিউপোলে প্রতিশ্রুত যুদ্ধবিরতি উঠে গেছে। রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে, পোষা প্রাণী এবং শিশুদের নিয়ে শহরের বাসিন্দারা একটি বিধ্বস্ত সেতুর নীচে ইরপিন নদী পার হওয়ার অপেক্ষায় থাকতেও দেখা গেছে।

জাতিসংঘের মতে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ১১ দিনে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি থেকে পালিয়ে পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার মতে, ২৪ ফেব্রুয়ারির হামলা শুরুর পর থেকে অন্তত ৩৫১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে তবে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা সম্ভবত অনেক বেশি।

         

   ইরপিন শহর থেকে পালানোর সময় রাশিয়ার বিমান হামলায় ধ্বংস হওয়া একটি সেতুর নীচে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

 

 

 

৩. রাশিয়ান বিমান হামলায় ধ্বংস হওয়া সেতুর নীচে আশ্রয় নিয়ে ইরপিন নদী পার হওয়ার সময় একজন মহিলার কোলে
তার পোষা কুকুর। 

 

 পোল্যান্ডের মেডিকায় সীমান্ত পার হওয়ার সময় এক মহিলা তার বন্ধুকে খুঁজে পেয়ে কাঁদছেন।
ইউক্রেন থেকে পালিয়ে তারা পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন।

 

      ইউক্রেনের লোকজন একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত সেতুর নিচে ভিড় করছে ইরপিন নদী পার হতে।

 

 

মারিউপোলে রাশিয়ান বাহিনীর গোলাগুলির সময় লোকজন হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে আছে।

 

আহত ইউক্রেনের পুরুষরা ইরপিন নদী পার হওয়ার অপেক্ষায়।

 

ইউক্রেনের বেশিরভাগ মহিলা ও শিশু কিয়েভ রেলওয়ে স্টেশনে লভিভের উদ্দেশ্যে একটি ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেছে।

 

 ইরপিন নদী পার হওয়ার পর ইউক্রেনের সেনাবাহিনী একটি শিশুর স্ট্রলার বহন করছে।

 

 মেরিনা ইয়াটস্কোর ১৮-মাস বয়সী ছেলে কিরিলের জীবন বাঁচানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে চিকিৎসাকর্মীরা। 
যে গোলাগুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিল।

 

সূত্র: আল জাজিরা