শিরোপা লড়াইয়ে নেই বার্সেলোনা। লা লিগায় এ লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়া দলটি এখন শেষ চারে টিকে থাকার চাপে রয়েছে। তবে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় সে চাপ ভালোভাবেই মোকাবেলা করে চলেছে জাভির দলটি। রোববার রাতে অ্যাওয়ে ম্যাচে পিছিয়ে পড়ার পর ২-১ গোলে জয় পেয়েছে। ফেরান টরেস ও মেম্ফিস দেপে করেন গোল দুটো।
এলচের বিপক্ষে পাওয়া এ জয় বার্সেলোনাকে ভালো একটা অবস্থানে নিয়ে এসেছে। রিয়াল মাদ্রিদ ও সেভিয়ার পরেই তাদের স্থান। ৪৮ পয়েন্ট তাদের। সমান পয়েন্ট অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের। তবে গোল পার্থক্যে বার্সেলোনা তৃতীয় স্থানে আর অ্যাতলেতিকো চতুর্থ স্থানে। নিজেদের অবস্থানটা আরো সংহত করার সুযোগ রয়েছে বার্সেলোনার সামনে। তারা একটা ম্যাচ কম খেলেছে।
গোলশূন্যভাবে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ায় অপেক্ষায় যখন দর্শকেরা তখনই এলচে কাঁপিয়ে দেয় বার্সেলোনার জাল। সে সঙ্গে বার্সেলোনার খেলোয়াড় ও সমর্থকদের আরো একটা দুঃশ্চিন্তায় ঠেলে দেয়। আশঙ্কা তৈরি হয় আরো একটা হারের। প্রথমার্ধে একেবারে অন্তিম মূহুর্তে ফিডেল চাভেসের গোলে এলচে এগিয়ে যায়। পেদ্রির একটা দুর্বল পাস নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চাভেস গোলটি করেন।
বিরতির পর জাভি দলে পরিবর্তন আনেন। টরেস আসেন মাঠে। তার ফলও পেয়েছে বার্সেলোনা। স্প্যানিশ এ ফরোয়ার্ড পোস্টের খুব কাছে পাওয়া সুযোগটি কাজে লাগাতে ভুল করেননি। ৬০ মিনিটের সময় করা তার এ গোলেই বার্সেলোনার সমর্থকদের মনে আশার আলো জেগে ওঠে। আর তাকে বাস্তবে রূপ দেন মেম্ফিস। ৮৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন তিনি। হ্যান্ডবলের সুবাদে বার্সেলোনা এ পেনাল্টি পায়। এক হ্যান্ডবলে এলচের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। একদিকে পেনাল্টি হজম করতে হয়েছে। অন্যদিকে পেনাল্টির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় এলচের হ্যাভিয়ের পাস্তোরে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।
বার্সেলোনার প্রথম গোলের পর জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে এলচে। একই সঙ্গে বার্সেলোনাও গোল করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। ফলে এ সময় দুই গোলরক্ষককে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। উভয় গোলরক্ষক একাধিকবার দারুণ সব সেভ করেছেন।
বার্সেলোনার মতো এলচেও পেতে পারতো পেনাল্টি। একবার নয় দুইবার। তবে রেফারি তাদের দাবি উপেক্ষা করে গেছেন। দুইবার ভিএআর দেখে রেফারি এলচের পেনাল্টি দাবি এড়িয়ে যান। এ সম্পর্কে বার্সেলোনার গোলরক্ষক টের স্টেগান বলেন, ‘পেনাল্টি সীমানার মধ্যে হ্যান্ডবল নিয়ে সবসময় বিতর্ক হয়। পেনাল্টি সীমানায় খেলার সময় খেলোয়াড়রা তাদের হাত শরীর থেকে আলাদা করতে পারে না। যাহোক আমার মনে হয় রেফারি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’